ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১

সরফরাজ-পন্থ বীরত্ব ছাপিয়ে কিউইদের হাতছানি

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সরফরাজ-পন্থ বীরত্ব ছাপিয়ে কিউইদের হাতছানি

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালুরু টেস্টটা জিততে পারলে অবিশ্বাস্য এক ইতিহাসই লেখা হবে ভারতের পাশে। ৫০ রানের নিচে অলআউট হয়ে টেস্ট জয়ের ঘটনা আছে মাত্র একটিই। ১৮৮৭ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৫ রানে অলআউট হয়ে জিতেছিল ইংল্যান্ড। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে অনেক কিছুই হতে পারে।

তবে সরফরাজ খানের (১৫০) ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এবং ক্রেজী ঋষভ পন্থের (৯৯) আফসোসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রানে থেমে গেছে রোহিত শর্মার দল। ১০ উইকেট হাতে রেখে জয়ের জন্য আজ শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য মাত্র ১০৭ রান। বৃষ্টি বা ব্যতিক্রম কিছু না হলে জয় হাতছানি দিয়ে ডাকছে টম লাথামদের। রাচিন রবীন্দ্রর (১৩৪) সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪০২ রান।   
শনিবার চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪ বল খেলার পর আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই নামে তুমুল বৃষ্টি। ওই ৪ বলে কোনো রান হয়নি। আজ শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্যও তাই ১০৭ রানেই অপরিবর্তিত থেকে গেছে। প্রথম ইনিংসে অমন মহাবিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভারে ২৩১ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল ভারত। আগের দিনের মতো প্রায় একই গতিতে রান তুলেছে।

কিন্তু চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের ১৭৭ রানের জুটির পরই ভেঙে পড়ে ইনিংস। সরফরাজের আউটে ৪০৮ রানে চতুর্থ উইকেট পড়েছিল, সেখান থেকে ৪৬২ রানে অলআউট! সরফরাজ আউট হওয়ার আগে ১৮টি চার ও ৩টি ছয়ে ১৯৫ বলে করেছেন ১৫০ রান। শুভমান গিল ইনজুরিতে না পড়লে এই টেস্টে হয়তো খেলারই সুযোগ পেতেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে আলোচিত ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার ভারতের জার্সিতে চতুর্থ টেস্টেই পেয়ে গেলেন জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি। আছে তিন হাফ সেঞ্চুরি। ড্যাশিং পন্থ ১০৫ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা! 
৯০ রানে ১০৭ মিটারের বিশাল এক ছক্কায় বল পাঠিয়েছিলেন এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের ছাদে। ৯৬ রান থেকে এরপর দ্রুতই পৌঁছে যান ৯৯ রানে। পেসার উইলিয়াম ও রুর্কির বলে কাট করে সিঙ্গেলস পূরণ করে সেঞ্চুরির ল্যান্ডমার্ক ধরার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু টেস্টে নিজের ৭ম সেঞ্চুরিটা আর পাওয়া হয়নি। ফিরেছেন ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে। ক্যারিয়ারে ৭মবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন ভারতের এই উইকেটরক্ষক।

২০০০ সালের পর থেকে গেল ২৪ বছরে টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার নব্বইয়ে আউটের তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছে তার নাম। তবে উইকেটরক্ষকদের বিবেচনায় ঋষভ পন্থের চেয়ে বেশিবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হননি আর কেউই। মহেন্দ্র সিং ধোনি নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হয়েছেন ৬ বার। দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের এমনভাবে কপাল পুড়েছে ৪ বার।

×