ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

হাতুরুর দাবি বিসিবি পরিকল্পিতবাবে বাদ দিয়েছে তাকে

প্রকাশিত: ২১:০৬, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

হাতুরুর দাবি বিসিবি পরিকল্পিতবাবে বাদ দিয়েছে তাকে

প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিসিবি

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ৪৮ ঘণ্টার সাসপেনশনসহ শো-কজ দেয় প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেকে। সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় অসদাচরণ, ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা এবং আচরণবিধি ভঙ্গের। কিন্তু এই অভিযোগসমূহ অস্বীকার করে হাতুরুসিংহে দাবি করেছেন বিসিবি পরিকল্পিতভাবে তাকে শো-কজ দিয়ে চুক্তি বাতিল করেছে। শুক্রবার গণমাধ্যমকে দেওয়া শো-কজের জবাবে এসব বলেছেন হাতুরু।

বৃহস্পতিবার হাতুরুকে অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানায় বিসিবি। সে বিষয়ে হাতুরুসিংহে বলেছেন,‘‘এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে আমার। নতুন সভাপতির মেয়াদের প্রথম দিনেই তিনি প্রধান কোচ অপসারণের ইচ্ছার কথা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপর আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শো-কজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।’’

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে চড় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাতুরুসিংহের ওপর। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় জানান ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাতুরু তার জবাবে বলেছেন,‘‘প্রথমত, অভিযুক্ত ঘটনাটি খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিংরুমে ঘটেছিল, যেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকে। খেলার প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গে সঙ্গে ধারণ করে ৪০ থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যামেরা। আমি অভিযোগকারীকে যাচাই করার সুযোগ পাইনি বা কোনও সাক্ষীও পাইনি, আদৌ যদি থেকে থাকে।’’

অথচ ঘটনার কয়েক মাস পর বিভিন্ন ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। এরপরই বিসিবি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। হাতুরুসিংহে এ বিষয়ে বলেছেন,‘‘ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ওই ইভেন্টের পরে দ্রুততম সময়ে টিম ম্যানেজার বা কোনো কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?’’

বিসিবির দাবি অনুসারে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছুটি কাটিয়েছেন হাতুরুসিংহে। চুক্তি অনুসরণ না করেই তিনি গত দুই বছরে ১২৬ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে। মূলত কোনো চিঠি বা ই-মেইলে সেটি করেননি হাতুরু। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন,‘‘ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকেই অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনো সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে।’’

মামুন/ রিয়াদ

×