রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
সাকিব আল হাসান এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলেই অবসরে যেতে চান। মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাকিব দেশে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে আছে যথেষ্ট সংশয়। কারণ তার বিরুদ্ধে আছে হত্যা মামলাসহ বেশকিছু মামলা। আর এই মামলার কারণেই বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও মিরপুরে চলছে সাকিববিরোধীদের আন্দোলন।
এমনকি সাকিব যেন না খেলতে পারেন তার প্রতিবাদে বিভিন্ন গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। তাই আদৌ সাকিব এতকিছু পেছনে ফেলে দেশে ফিরে আবার নির্বিঘেœ চলে যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে আছে যথেষ্ট সংশয়। তবে মিরপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, সাকিবের দেশে আসা ও বিদেশে যাওয়াতে কোনো আইনি সমস্যা নেই। আগের মতোই সাকিবের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেখতে হাজির হন উপদেষ্টা আসিফ। মূলত স্টেডিয়ামের বিভিন্ন সমস্যা খতিয়ে দেখেছেন তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে তার সমাধান করতে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, মিরপুর স্টেডিয়াম বর্ধিত করা, গ্যালারির সংস্কার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এ সময় সাকিবের দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে অবসর নেওয়ার বিষয়ে ওঠা প্রশ্নে আসিফ বলেছেন, ‘দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা নয়। আমি যতটুকু জানি। আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে।
আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই যে মামলা হয়েছে, ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে।’ সাকিববিরোধী চলমান আন্দোলন নিয়ে আসিফ বলেছেন,‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে প্রত্যেক নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দায়িত্ব। ক্রিকেট দলেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব এবং আমি মনে করি যে আবেগের একটা জায়গা অবশ্যই আছে।
যেহেতু বড় একটা আন্দোলন হয়েছে এবং সাকিবের আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেটা উনি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন উনার পোস্টে। তারপরও কিছু আবেগ রয়ে গেছে। আমাদের নজর থাকবে কারো নিরাপত্তা যেন আমরা হুমকির মুখে না ফেলি। এখানে দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে। আমাদের পরিবেশটাও ভালো রাখতে হবে। নয়তো বাইরের দেশগুলো দেশে আসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শঙ্কা অনুভব করবে।’