বাংলাদেশ এবারের নারী সাফে তিন কারণে জিততে পারে ও ছয় কারণে না-ও জিততে পারে
শিরোপা জেতার চেয়ে তা ধরে রাখা কঠিন। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে এখন সেই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। উপলক্ষ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার বাংলার বাঘিনীদের শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখা নিয়ে সংশয় আছে! আবার কমপক্ষে ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার একটা সম্ভাবনাও আছে।
প্রথমেই দেখা যাক সংশয় নিয়ে। প্রথমত চেনা ভেন্যু। ২০২২ সালে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় হয়েছিল সর্বশেষ সাফ। এবারও সেই দেশের সেই স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য চেনা ভেন্যুতে স্বস্তি নিয়ে খেলাটা অনেক সহজই। দ্বিতীয়ত প্রায় একই দলের কম্বিনেশন। এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। ফলে দলের সবার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেশ ভালো। আর এই বন্ডিংয়ের সুপ্রভাব পড়তে পারে মাঠের খেলায়।
তৃতীয়ত গ্রুপে কম দল থাকা। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত ও পাকিস্তান। কমপক্ষে একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। তারপর সেমির বাধা পেরুলেই ফাইনাল।
এবার আসা যাক কোন কারণে বাংলাদেশের জন্য শিরোপা ধরে রাখা কঠিন। প্রথমত দলের সবচেয়ে সফল ও কিংবদন্তী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের না থাকা। দ্বিতীয়ত নতুন কোচ পিটার বাটলারের নতুন ধাঁচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এখনও পুরোপুরি পারেনি দল।
তৃতীয়ত এই কোচ ইংরেজ হওয়ায় ভাষাগত যোগাযোগের সমস্যাটা থেকেই যায়।
চতুর্থত একাধিক ফুটবলারের অনুপস্থিতি। ব্যক্তিগত কারণে ও অভিমান করে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন ৫/৬ ফুটবলার। তাদের পরিবর্তে যারা দলে এসেছেন, তারা ভাল খেললেও তাদের পূর্বসুরীদের মতো অভিজ্ঞ নন। আর ফুটবলে অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই। ফলে এখানে একটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।
পঞ্চমত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ঘাটতি। ষষ্ঠত অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড ও গোলমেশিন সাবিনার অফ ফর্ম। এসব কারণেই এবার সাফের শিরোপা ধরে রাখা নিয়ে সংশয় আছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
রুমেল/শহিদ