ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার

তামিম ইকবাল

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব দেখেছে সবাই। তবে সেখানে দূরত্ব তৈরি হতে সময় লাগেনি। দীর্ঘদিন ধরে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সম্পর্কের অবনতি নিয়ে নানা কথা গুঞ্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা ভালোভাবে প্রকাশ্যে আসে গত বছর। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপ স্কোয়াড থেকে তামিম বাদ পড়ার পর এক সাক্ষাৎকারে যেভাবে তাকে নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব সেটি নিয়ে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। তবে বরাবরই সম্পর্কের এই অবনতি নিয়ে সাকিবের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।

এবার ভারত সফরে থাকা বাংলাদেশ দলের সিরিজে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তামিম। সেখানে টেস্ট সিরিজে সাকিবের প্রশংসাই করেছেন তিনি। এবার দেশটির ক্রিকেট ভিত্তিক এক জনপ্রিয় সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম জানিয়েছেন, সম্পর্ক যেমনই হোক তিনি বিশ^াস করেন সাকিব দেশের সবচেয়ে বড় তারকা। এ সময়ে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হওয়ার যোগ্যতা দেশের কারও নেই।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোচ রয়েছেন। বিদেশীদের বেশি বেতনে না এনে তাদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে আসার পর চান্দিকা হাতুরুসিংহে আছেন অনেক সমালোচনার মধ্যে। তাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হটানোর দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’

হাতুরুসিংহেকে আগেভাগে বিদায় না করলেও তার চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ামাত্র অন্য কাউকে সেখানে দেখা যাবে। অনেক দেশই সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে সেই দায়িত্বে আসীন করছে। প্রধান কোচ হিসেবে কাউকে যোগ্য মনে না করলেও তামিম মনে করেন কোচিং স্টাফে দেশীয়দের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০:৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশী ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশী কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’ 
সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যদি আমাদের সুসম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হতো, তাহলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করত। আমরা দেশের জন্য অনেক দারুণ কিছু করেছি। দুজনেরই ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেরাটাই করতে চেয়েছি। সম্পর্ক ওঠানামার মধ্য দিয়ে যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। শেষ পর্যন্ত আপনারা তো দেশের জন্যই খেলছেন। আমি কোনো গণমাধ্যমে বা সরাসরি তাকে (সাকিব) কিছু বলিনি। কারও সম্পর্কেই বলিনি। যা হোক, অবশ্যই বিশ্বাস করি, সাকিব বাংলাদেশের জন্য যা করেছে, অসাধারণ। সম্পর্ক যেমনই থাকুক, ওটা অস্বীকার করা যাবে না। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।’

×