ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

কাবাডির অর্থের ওপর যাদের লোলুপ দৃষ্টি! 

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৭ অক্টোবর ২০২৪

কাবাডির অর্থের ওপর যাদের লোলুপ দৃষ্টি! 

কাবাডি ফেডারেশনের সঞ্চয়ের ওপর চোখ পড়েছে অনেক সুযোগ সন্ধানীদের

কাগজে-কলমে এখনও বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। সময়ের পরিক্রমায় সেই খেলাটির এখন বেহাল দশা। একসময় এশিয়ান গেমস থেকে নিয়মিত পদক জিততো বাংলাদেশ কাবাডি দল। অথচ বহু বছর ধরে এই আসর থেকে বাংলাদেশ দেশে ফেরে রিক্ত হস্তে! তবে অর্থের নিরিখে কাবাডি ফেডারেশন কিন্তু বেশ ভালো অবস্থায়। জানা গেছে প্রায় আট কোটি টাকা রয়েছে কাবাডি ফেডারেশনের কোষাগারে। এখন সেই ‘খাজানা’র ওপর চোখ পড়েছে বহিরাগতদের। ফলে নড়েচড়ে বসেছেন তারা। কাবাডির মসনদে বসা নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। 

২০১৭ সালে পদক ফেরানোর প্রত্যয় নিয়ে কাবাডির দায়িত্বে আসে পুলিশ বাহিনী। তারা অর্থের প্রাচুর্যতা বাড়িয়েছে। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কাবাডির সভাপতি ও পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দেয় অন্তর্বতীকালীন সরকার। ফলে কাবাডি থেকেও বাদ পড়েছেন তারা। সেই কমিটি গত সাত বছরে তিল তিল করে আট কোটি টাকার ফাণ্ড তৈরি করেছে। যার মধ্যে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং নগদ চার কোটি ২৫ লাখ টাকা রয়েছে ব্যাংকে। সার্চ কমিটির কর্তাদের কাছে এক সভায় এই তথ্য জানান কাবাডির যুগ্ম সম্পাদক ও ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক। এই খবর শুনেই নড়েচড়ে বসেন অন্যরা। সূত্রটি জানায়, অর্থের খবর পেয়েই আসন্ন কাবাডির অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিওএপি) মতিঝিল পাড়ার এক নেতা। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে কাবাডি খেলোয়াড় ও সংগঠকদের মধ্যে।  

এদিকে দ্রুততম সময়ে কাবাডিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাা নেওয়ার জন্য দুটি চিঠি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা পড়েছে। জানা গেছে, ক্রীড়া পরিষদের সচিকে দেওয়া প্রথম চিঠিতে সাবেক খেলোয়াড় আসগর আলীর নাম থাকলেও সই রয়েছে আনোয়ার হোসেন আনু নামের এক সংগঠকের। সার্চ কমিটিকে দেওয়া আনোয়ার হোসেন আনুর চিঠিতেও সই তার। 
 

 

রুমেল খান

×