নারী টি২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রানআউট হওয়ার কষ্ট বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির
সাবেক বিশ^চ্যাম্পিয়ন ও ৩ বারের রানার্সআপ ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। তাদের বিপক্ষে আগেও ৩ বার বিশ^কাপ মঞ্চে খেলেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে এবারের আসরেই মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয় ইংলিশ মেয়েদের প্রথমবার হারিয়ে দেওয়ার। কিন্তু বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করে ইংল্যান্ড নারী দলকে ১১৮ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই রান তাড়া করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত ২১ রানে হেরে গেছে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। আর এতেই হতাশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনিও বোলারদের প্রশংসা করেছেন, কিন্তু আঙুল তুলেছেন ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিকে। নারী টি২০ বিশ^কাপে পরবর্তী ম্যাচ বাংলাদেশের মেয়েরা খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ অক্টোবর।
এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো টি২০ বিশ^কাপে খেলছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগের ৫টি আসরে মাত্র দুই জয় পেয়েছে ২০১৪ সালে প্রথমবার খেলতে নেমে। তারপর ৪ বিশ^কাপে সব ম্যাচে হারের পর এবার জয় দিয়ে শুরু করেছেন জ্যোতিরা। সে কারণে বেশ আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে দল। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের আশা তৈরি হয়। বোলাররা দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশ মেয়েদের ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে মাত্র ১১৮ রানেই আটকে রেখে সেই আশাটা আরও বাড়িয়ে দেন। কিন্তু ব্যাটাররা হতাশ করেছেন। সে বিষয়ে জ্যোতি বলেছেন, ‘ভালো একটি দলকে হারানোর বড় সুযোগ হারিয়েছি আমরা।
আমাদের বোলাররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু ব্যাটাররা হতাশ করেছে।’ তৃতীয় উইকেটে সোবহানা মোস্তারি ও জ্যোতির মধ্যে ৩৫ রানের জুটি হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো ভালো জুটি হয়নি। জ্যোতি রানআউট হলে সেটিও ভেঙে গেছে। জ্যোতি বলেছেন, ‘পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো করতে পারিনি, উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছি। পাওয়ার প্লে’র পর খেলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি আমরা। ভালো জুটি দরকার ছিল আমাদের। আমি ও সোবহানা ভালো জুটি গড়েছি, কিন্তু আমি বাজে সময়ে আউট হয়ে গেছি।’
এত কম রান টি২০ ম্যাচে তাড়া করে জেতাই উচিত ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। ব্যাটিং মনোভাবটাও উন্নত হওয়া জরুরি। এ বিষয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এই লক্ষ্য তাড়া করার মতোই ছিল। কিন্তু আমরা পাওয়ার প্লেতে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের আরও বেশি তাড়না দেখানো উচিত ছিল। ব্যাটিং খুবই হতাশাজনক ছিল।’ হারলেও অবশ্য আত্মবিশ^াস আরেকটু বেড়েছে বাংলাদেশ দলের। কারণ ইংল্যান্ডের মতো বড় দলের বিপক্ষে এমন সুযোগ আসাটা পরবর্তী দুই ম্যাচে কাজে আসবে। জ্যোতি বলেছেন, ‘দলের প্রতিটি ক্রিকেটারই মনে করেছে, বড় সুযোগ ছিল।
ইংল্যান্ড অনেক বড় দল। তাদের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। আমি আশাবাদী ছিলাম, দলের সবাই আশাবাদী ছিল যে, আমরা এটা অর্জন করতে পারব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা অনেক ভালো করেছি। জেতার সুযোগ ছিল। সেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। তবে এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি, যা সামনে এগিয়ে নিতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’ ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের মেয়েদের। সে ম্যাচ দুটিতেও বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে জ্যোতিদের।