ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

এশিয়ায় নারী অ্যাম্পুটি ফুটবলে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু

জ‍্যোতি ছড়াতে চায় শিলা-সুমাইয়ারা

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ৫ অক্টোবর ২০২৪

জ‍্যোতি ছড়াতে চায় শিলা-সুমাইয়ারা

অ্যাম্পটি নারী ফুটবলের সংবাদ সম্মেলনের দৃশ্য

অধিকাংশেরই এক পা নেই। স্ক্র্যাচে ভর করে এক পায়ে ফুটবল খেলেছেন। কারো আবার এক হাত নেই। গোলকিপার পজিশনে খেলেন। শারীরিক এমন প্রতিবন্ধীদের ফুটবল খেলা নিয়ে রয়েছে বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশন। বিশ্বকাপ, এশিয়ান কাপের মতো আসরও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রচার না থাকায় পাদপ্রদীপের আলোয় আসে না অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বের ৭৫টি দেশে রয়েছে অ্যাম্পুটি ফুটবল। বাংলাদেশেও শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেদের নিয়ে অ্যাম্পুটি ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। এবার মেয়েদের যাত্রা শুরু হল। আজ শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাম্পুটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহসভাপতি বদিউজ্জামান আলামিন। তার কথায়, ‘ছেলেদের নিয়ে আগেই খেলা শুরু করেছি আমরা। এবার যাত্রা করলাম মেয়েদের। এশিয়ায় আমরাই প্রথম মেয়েদের অ্যাম্পুটিতে খেলা শুরু করেছি।’ 

এ সময় রেডক্রসের কর্মকর্তা অস্কার ফিলিপ, বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশনের (ডব্লুএএফএফ) কোচ হ্যারি স্মিথ, আইসিআরসি'র মিডিয়া পাবলিকেশন ম‍্যানেজার সুভাস সাহা, বাফার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ফারহানা ও বাফুফের সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ উপস্থিত ছিলেন। 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ এবং নানা দুর্ঘটনায় পা হারানো ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল খেলায় উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (আইসিআরসি)। চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপের। সবশেষ ২০২২ সালে তুরষ্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লক্ষ্যটা বিশ্বকাপ হলেও আপাতত যাত্রা শুরু করে নিজেদের জানান দিল বাফা। বদিউজ্জামানের কথা, ‘আমরা বেশ ক’জন মেয়েদের জোগাড় করেছি, যাদের একটি পা নেই। স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে তারা দিব্যি ফুটবল খেলতে পারে। এই মেয়েদের নিয়েই আমরা পাঁচদিনের একটি কোর্সের কার্যক্রম শুরু করেছি। বাফুফের পাশে কৃত্রিম মাঠে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। ১০ অক্টোবর শেষ দিনে একটি প্রদর্শনী ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মেয়েদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। সময়ই বলে দেবে কতদূর যেতে পারি।’ 
ডব্লুএএফএফের কোচ হ্যারি স্মিথ বলেন, ‘প্রতিভা থাকলে বিকাশ ঘটবেই। বাংলাদেশে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের নিয়ে ফুটবলে যাত্রা শুরু হয়েছে। একদিন তারা বিশ্বকাপে খেলবে।’   
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের মেয়েরা ইতোমধ‍্যেই তাদের প্রতিভা প্রমান করেছে। এখন শারীরিক ভাবে হাত-পা হারানো ছেলেদের মতো মেয়েরাও এশিয়ায় জ‍্যোতি ছড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে একদিন তারা এশিয়ায় ভালো একটি এম্পুটি ফুটবল দল হিসেবে পরিচিতি  পারে বলে মনে করেন তানজিলা আকতার শিলা ও সুমাইয়ারা। 

বিশ্ব এম্পুটি ফুটবল ফেডারেশন ও আইসিআরসি'র পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্পোর্টস ফর হোপ এন্ড ইন্ডিপেন্ডন্স (শি), বাংলাদেশ এম্পুটি ফুটবল এসোসিয়েশন (বাফা) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহযোগিতায় পাচঁ দিনব‍্যাপী (৬-১০ অক্টোবর) এম্পুটি ফুটবল (নারী ও পুরুষ) এর ট্রেনিং, কোচেস কোচিং এবং ফাইনাল হবে। 
 

 

রুমেল খান

×