লন্ডনে পিএসজির বিরুদ্ধে গোলের পর আর্সেনালের জার্মান ফরোয়ার্ড কেই হাভার্টজের উল্লাস
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ফেভারিট বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ইন্টার মিলান এবং ব্রেস্ট। মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা ৫-০ গোলে হারিয়েছে ইয়ং বয়েজকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ৪-০ গোলে পরাজিত করেছে স্লোভান ব্রাতিস্লাভাকে।
সিটিজেনদের মতো একই ব্যবধানে ইন্টার মিলান রেড স্টার বেলগ্রেডকে এবং ব্রেস্ট রেড বুল সালজবার্গকে উড়িয়ে দিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে এদিন সবচেয়ে বড় জয়টা তুলে নিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান্ট জায়ান্টরা ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে সেল্টিককে। ইউরোপসেরার এই টুর্নামেন্টে জায়ান্টদের জয়ের দিনে হেরে গেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল ২-০ গোলে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছে পিএসজিকে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছিল বার্সেলোনা। মোনাকোর মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল কাতালান ক্লাবটি। ২০২৪-২৫ মৌসুমে যা ছিল রাফিনহা-লেভানডোস্কিদের প্রথম পরাজয়ের অভিজ্ঞতা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বরূপে ফিরেছে তারা। মঙ্গলবার নিজেদের ঘরের মাঠে হ্যান্সি ফ্লিকের দল ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইয়ং বয়েজকে। এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিজ স্টেডিয়ামে ৪৫ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় বার্সেলোনা।
এদিন যেন ইয়ং বয়েজদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে-খেলাই খেলেছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। বার্সার হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডোস্কি। ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটে পোলিশ স্ট্রাইকারের গোলেই প্রথম এগিয়ে যায় বার্সা। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালানরা। এবার গোলের নায়ক সেই প্রথম গোলের সহায়তাকারী বার্সা অধিনায়ক রাফিনহা নিজেই। ৩৭ মিনিটে মার্টিনেজ গোল করলে ম্যাচের স্কোর দাঁড়ায় ৩-০। প্রথমার্ধে ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১২টি শট নেওয়া বার্সার লক্ষ্যে ছিল সাতটি। যেখানে বয়েজের দুটির লক্ষ্যে ছিল না একটিও।
বিরতির পরও দাপট অব্যাহত রাখা বার্সেলোনার ব্যবধাটা বেড়ে যায় ৫১ মিনিটে। নিজের দ্বিতীয় গোল করে নিজেকেও ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যান লেভানডোস্কি। রোনাল্ডোর পর ত্রিশের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ কিংবা তারও বেশি গোলের রেকর্ড গড়লেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ স্ট্রাইকার। ৮১ মিনিটে বয়েজের ভুলেই ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এদিকে ম্যানচেস্টার সিটির বড় জয়ে গোল করেন ইকে গুনডোগান, ফিল ফোডেন, আর্লিং হালান্ড এবং জেমস ম্যাকটি। দুই বছর আগে ইস্তাম্বুলের ফাইনালে সিটির কাছে হারা ইন্টার একই ব্যবধানে ঘরের মাঠে রেড স্টার ব্রেলগ্রেডকে পরাজিত করেছে। ১১ মিনিটে হাকান কালাহানগ্লুর গোলে প্রথম এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বাকি তিনটি গোল করেন মার্কো অর্নাটোভিচ, লাউতারো মার্টিনেজ ও মেহদি টারেমি।
তবে সবচেয়ে বড় জয়টা পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। সিগনাল ইদুনা পার্কে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নদের দাঁড়াতেই দেয়নি স্বাগতিক শিবির। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেন ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি। ফলে ৫-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে পায় বাকি দুই গোল। এর ফলে ২০১৬ সালে লেগিয়া ওয়ারস’তে ৬-০ গোলে হারানোর পর এটাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডর্টমুন্ডের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
তবে ফুটবলপ্রেমীদের বাড়তি নজর ছিল পিএসজি বনাম আর্সেনালের ম্যাচে। তবে এমন ম্যাচে সহজেই প্যারিস জায়ান্টদের হারায় গানাররা। লিনড্রো টোসার্ডের ক্রস থেকে ২০ মিনিটে আর্সেনালকে প্রথম এগিয়ে দেন কেই হাভার্টজ। ৩৫ মিনিটে বুকায়ো সাকার ফ্রি-কিক থেকে করা গোলের সৌজন্যে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। আরেক ম্যাচে বায়ার লেভারকুসেন ১-০ গোলে হারায় এসি মিলানকে।