ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

টাইগ্রেস ক্যাপ্টেনের কণ্ঠে ইতিহাস বদলানোর প্রত্যয় 

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২ অক্টোবর ২০২৪

টাইগ্রেস ক্যাপ্টেনের কণ্ঠে ইতিহাস বদলানোর প্রত্যয় 

অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে নারী টি২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শারজায় টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। সেই ২০১৪ সালে দেশের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর চারটি বিশ্বকাপ পেরিয়ে গেছে।

ম্যাচ সংখ্যা একুশ ছুঁয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নামের পাশে জয় সেই দুটিই। কোনো ম্যাচ জয় তো দূর আকাশের তারা, বড়-ছোট কোনো দলের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়েই টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। 

‘আমি বলবো যে পুরো দলের জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্বকাপ। আমরা যতগুলো বিশ্বকাপ খেলেছি; ২০১৪ ছাড়া বলার মতো তেমন বলার কিছু করতে পারিনি। আমরা চাই যেন এই বিশ্বকাপটা কাউন্টেবল ও মেমোরেবল হয়।’বুধবার দুবাইয়ে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১০ বছরের সেই ক্ষুধা এবার মেটানোর আশায় টিম বাংলাদেশ,‘আমি বলবো যে খুবই হতাশাজনক। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এটা এই দুঃখ এবার ঘোচাতেই চাই। যেন আমাদের এই দুঃখ আর না থাকে। শুরুটা করতে চাই আগামীকালকের ম্যাচ দিয়ে।’

কোচ হাসান তিলকারত্নেও ভালো কিছুর আশায় আছেন, ‘আমরা এখানে ২০ কোটি মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করছি। সবাই এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আপনি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে দেখেন। প্রথমটা প্রত্যাশা মতো হয়নি, দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেয়েরা খুব ভালো খেলেছে। টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। মেয়েদের সঙ্গে কিছু আলাপ হয়েছে। তারা খুব ভালো আত্মবিশ্বাসী। তারা আগামীকালের ম্যাচটার দিকে তাকিয়ে আছে।’শুরু থেকে ছন্দ পেতে পান তিলকারত্নে, ‘প্রথম ম্যাচ জিতলে ছন্দ পাওয়া যায়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমরা সেরা খেলাটা খেলবো ও ইতিবাচক ফল আনবো। আমি নিশ্চিত মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ও ফোকাস টুর্নামেন্টে খেলার জন্য।’ 

প্রস্তুতি ম্যাচে ভিন্ন দুই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।যেখান থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন অধিনায়ক জ্যোতি,‘আমাদের দল শেষ ওয়ার্মআপ ম্যাচটা যেভাবে খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে, সবাইকে একটা ভালো শেপে দেখেছি। সবার ভেতর যে এনার্জি বা ম্যাচ জেতার  ক্ষুধা  বলবো, প্রত্যেকটা খেলোয়াড় একজন আরেকজনকে ব্যাক করেছে মাঠে। ব্যাটিং ইউনিট অনেক ভালো করেছে, ভালো একটা স্কোর দাঁড় করিয়েছে। বোলাররা অনেক ভালো বেশি ব্যাক আপ দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে যদি চিন্তা করি দল একটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা জয়ের জন্যই খেলবো।’

জ্যোতির নিজের জন্যেও এই ম্যাচটা বিশেষ তাতপর্যপূর্ন। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারের শততম টি২০ ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি,‘প্রথমেই আমি জয় চাই। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে চাই। আমার জন্য ও গোটা দলের জন্য বড় একটি অর্জন হবে। ব্যক্তিগতভাবে ১০০তম ম্যাচ অবশ্যই বড় ব্যাপার। যদি সুস্থ থাকি ও খেলি, তাহলে লক্ষ্য তো এটাই থাকবে, এটা যেন স্পেশাল হয়ে থাকে, স্মরণীয় হয়ে থাকে সবার জন্য।’

আমিরাতে এবার মোট ১০টি দল শিরোপার লড়াইয়ে অবতীর্ন হচ্ছে। এর মধ্যে এ—গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বি-গ্রুপে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শারজাহ ও দুবাইয়ে গ্রুপ পর্ব ও নক-আউট মিলিয়ে মোট ম্যাচ ২৩টি। দুই গ্রুপের সেরা দুটি করে চারটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। দুটি সেমিফাইনাল ১৭ ও ১৮ অক্টোবর। দুবাইয়ে ফাইনাল ২০ অক্টোবর। আগের নয় আসরে রেকর্ড ছয় বারই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া!

মিরাজ/শহিদ

×