শনিবার গলে প্রবাথ জয়সুরিয়াকে ঘিরে উল্লাস শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের
গল টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে রেকর্ডের বন্যায় ভাসিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ৬০২ রানের বিশাল পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছিল তারা। প্রবাথ জয়সুরিয়ার ৬ উইকেট আর নিশান প্যারিসের ৩ উইকেটের সুবাদে ৮৮ রানেই অলআউটের লজ্জায় পড়ে কিউইরা। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র তিন জনÑ রাচিন রবিন্দ্র ১০, ড্যারিল মিচেল ১৩, আর নয় নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন মিচেল স্যান্টনার।
মাত্র ৩৯.৫ ওভারেই কিউইদের গুটিয়ে দিয়ে ৫১৪ রানের বিশাল লিড নেয় স্বাগতিকরা। এরপর প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলে তারা। ফলোঅনে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব একটা মন্দ ছিল না নিউজিল্যান্ডের। ঝড়ো গতিতে ৪১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে শনিবার তৃতীয় দিন শেষে করেছে টিম সাউদির দল। ইনিংস হার এড়াতেই আরও ৩১৫ রান চাই তাদের। ক্রিকেটীয় বাস্তবতায় নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এই ম্যাচে হার এড়ানো প্রায় অসম্ভম। ৮৮/১০Ñ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডে টেস্টে সর্বনিম্ন রান।
এর আগে ১৯৯২ সালে কলম্বো টেস্টে ১০২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ এশিয়ায় এটি নিউজিল্যান্ডের ৫ম সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে আছে ভারতের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টে ৬২ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় ৭০ (১৯৫৫ সাল), লাহোরে ৭৩ রান (২০০২ সাল) ও রাওয়ালপিন্ডিতে ৭৯ রান (১৯৬৫ সাল)। ইতিহাসে মাত্র ২য় বার ৬০০ রান হজমের পর কোনো দল ১০০ এর নিচে আউট হয়েছে। এর আগের রেকর্ডও নিউজিল্যান্ডেরই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০২ সালে ৬৪৩ রানের বিপরীতে তারা আউট হয় ৭৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার লিড ৫১৪, ইতিহাসে মাত্র ৭ম বার এবং বিগত ১৮ বছরে ১মবার কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রানের লিড পেয়েছে। টেস্ট ইতিহাসে ১ম ইনিংস শেষে ৫ম সর্বোচ্চ লিড। সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৩৮ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের ৭০২ রানের লিড। ইনিংসে প্রবাথের বোলিং ফিগার ৪২/৬। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৯ম বার ৫ উইকেট শিকার। ৫ উইকেট শিকারের দিক থেকে শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে চতুর্থ স্থানে তিনি। সবার ওপরে মুত্তিয়া মুরালিধরন (৬৭ বার), রঙ্গনা হেরাথ (৩৪ বার) এবং চামিন্দা ভাস (১২ বার)
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৬ টেস্ট শেষে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার (৯) পাঁচ উইকেট শিকার। সামগ্রিকভাবে ২য় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে গলেই ৬৮ উইকেট। শ্রীলঙ্কার এই ভেন্যুতে উইকেট শিকারের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন এই অফস্পিনার। ওপরে আছেন কেবল মুরালিধরন এবং হেরাথ। ইনিংসে ধনাঞ্জয়া নিয়েছেন ৫টি ক্যাচ। একই বোলারের (প্রবাথ) বলে ৫ ক্যাচ নিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল ৪ বার।
