ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা কানপুরে মেঘের গর্জন

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা কানপুরে মেঘের গর্জন

বুধবার কানপুরে অনুশীলনে মগ্ন দুই ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা

কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে আলোচনা চলছেই। চেন্নাই থেকে মঙ্গলবার দুপুরে কানপুরে পৌঁছেছে দুই দল। নিজ বাহিনী নিয়ে বুধবার সকালে পুরোদমে অনুশীলন করেছেন রোহিত শর্মা ও নাজমুল হোসেন শান্ত। গ্রিন পার্কের চিরায়ত স্পিন-ট্র্যাকে দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে কথা হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আগেই পিচ কুপিয়ে নষ্ট করার হুমকি দিয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।

তাই স্টেডিয়ামসহ গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। আলোচনার এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে আবহাওয়া। স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ। পরদিন শনিবারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৮০ শতাংশেরও বেশি। সর্বোপরি প্রথম দুই দিন খেলা মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েও বড় রকমের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
‘বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটি নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। নিষ্কাশন ব্যবস্থা এখানে ভালো। আশা করছি, পুরো খেলা হবে।’ বলছিলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অমিত পাল। গত মঙ্গলবার মাঠের কভার এবং পিচ কভার নিয়ে মহড়া দেন মাঠ কর্মীরা। বোঝাই যাচ্ছে, খেলা চালিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর কানপুরের গ্রিন পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। বৃষ্টি হলে তার প্রভাব দেখা যাবে পিচেও। স্বভাবতই কানপুরের উইকেট কালো মাটি দিয়ে বানানো হয়ে থাকে এবং ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন এই মাঠে।

তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পিনাররা বলে পান টার্ন, হয়ে ওঠেন ভয়ংকর। ৬৫ বছর বয়সী এক গ্রাউন্ডসম্যান বলেন, ‘৪১ বছর ধরে এই মাঠে কাজ করছি। তৃতীয় দিন থেকেই এখানে স্পিনাররা টার্ন পেয়ে থাকে।’ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি২০’র দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারত হিন্দু সভা। এরপর দ্বিতীয় টেস্টের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে যাওয়ার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদের বিশেষ রীতি পালন করে তারা। এসব কারণে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে স্থানীয় প্রশাসন।
কানপুরের পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত দুই দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডকে (এটিএস) দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক। এই ম্যাচের জন্য কঠিন নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকেও তথ্য নিচ্ছি। কেউ প্রতিবাদের চেষ্টা করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ফাঁক না রাখতে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি। আশা করি, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে নিজেদের সর্বোচ্চটুকুই আমরা দেব।’

×