ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

এমএলএস ইতিহাসে দ্রুততম ১৫টি করে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড আর্জেন্টাইন অধিনায়কের

মিয়ামির মেসিময় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ামির মেসিময় জয়

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে সুয়ারেজের সঙ্গে গোলের উৎসব লিওনেল মেসির

চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই ঝলক দেখালেন লিওনেল মেসি। দীর্ঘ ২ মাস দুইদিন পর মাঠে ফিরেই জোড়া গোল করলেন ইন্টার মিয়ামির এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। আর তাতেই মেজর সকার লিগে ইন্টার মিয়ামি ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে। 
গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে শেষবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। সেই ম্যাচের মাঝপথেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন এলএম টেন। এরপর রবিবার নিজেদের মাঠে ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে খেলতে নামেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি। দলের সেরা তারকার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মিয়ামি! ম্যাচের শুরুতেই গোল করে ফিলাডেলফিয়াকে এগিয়ে দেন মিকায়েল উরে। এরপরই দেখা যায় মেসির শো।

মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানেই জোড়া গোল করে দুর্দান্তভাবে ইন্টার মিয়ামিকে ম্যাচে ফেরান বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের ২৬ আর ৩০ মিনিটে গোল দুটি করেন তিনি। মেসির গোল দুটিতে সহায়তা করেন বার্সেলোনারই সাবেক দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ আর জর্দি আলবা। ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে করা ইন্টার মিয়ামির তৃতীয় গোলটি আসে সদ্যই জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়া লুইস সুয়ারেজের পা থেকে। যে গোলটিতে অ্যাসিস্ট ছিল সেই মেসির।

এমন জয়ের পর মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় আর ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইন্টার মিয়ামি। 
সর্বশেষ কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড ১৬তম শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা। এরপর রবিবার মিয়ামির হয়ে পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই মাঠে ছিলেন এলএম টেন। এদিন জোড়া গোলে নতুন এক রেকর্ডও গড়েন মেসি।

এমএলএসে ১৯ ম্যাচে তার গোল ১৫ আর অ্যাসিস্টও সমান ১৫টি। যা এমএলএস ইতিহাসে দ্রুততম গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড। এমন ম্যাচের পর তাই দারুণ তৃপ্ত এলএম টেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি কিছুটা ক্লান্ত। তবে মাঠে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম। ফেরার পর আমি খুবই আনন্দিত এবং তৃপ্ত।’

×