গ্রেটার নয়ডায় বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড একমাত্র টেস্ট
তুমুল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে গ্রেটার নয়ডায় আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের টেস্টকে চেপে ধরে রেখেছিল ভেজা আউটফিল্ড ও মাঠের অপ্রত্যাশিত ‘বাজে’ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। টানা চারদিন কোন বল মাঠে না গড়ানো টেস্টের শেষদিনও বৃষ্টির পেটেই যাওয়ার কথাই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। টেস্টের পঞ্চম দিনে এসে আজ পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ‘ঐতিহাসিক’একমাত্র সাদা পোশাকের ম্যাচটি।
১৪৭ বছরের ইতিহাসে মাত্র অষ্টমবার এমন নজির দেখল টেস্ট ক্রিকেট। উপমহাদেশে এমনটি হয়েছে আগে স্রেফ একবারই। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ফায়সালাবাদে পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে টেস্টে টসই হয়নি। সেবার বৃষ্টি নয়, বাধা হয়েছিল শীতের কুয়াশা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লি ও আশেপাশের এলাকা জুড়ে নিয়মিতই অতি বৃষ্টিপাত হয়ে আসছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠ হলেও ভারত সেখানে নিয়মিত না খেলায় ভঙ্গুর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও আউটফিল্ড। যার ফলে কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই সেখানে ম্যাচ চালানো প্রায় অসম্ভবপর হয়ে উঠে। এবারের টেস্ট অন্তত সেটারই প্রতিচ্ছবি।
মাঝে রোদে দেখা গেলেও আউটফিল্ডের অবস্থা করুণ হওয়ায় খেলা শুরু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। মাঠ কর্মীরা অবশ্য নিজেদের চেষ্টার কমতি রাখেননি একটুও। ফ্যান দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টার পাশাপাশি আউটফিল্ডের ভেজা অংশের ঘাসের ব্লক তুলে নতুন ব্লক বসানো হয়েছেও। এত কিছুর পরও ঐতিহাসিক টেস্টের টস পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি।
টেস্টের পঞ্চম দিনে এসেও বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। যার ফলে সকাল নাগাদই জানিয়ে দেয়া হয় কোন বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের একমাত্র টেস্টটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের অষ্টম টেস্ট হিসেবে কোন বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হলো গ্রেটার নয়ডায় হওয়ার কথা থাকা ম্যাচটি। এই টেস্টের আগে এমন ঘটনা ঘটা ম্যাচের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের নাম।
১৯৯৮ সালে ডানেডিনে ভারতের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল কিউইদের। কিন্তু প্রবল বর্ষণের কারণে তৃতীয় দিনেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অষ্টম হলেও এশিয়াতে বৃষ্টির কারণে কোন বল মাঠে গড়ানো ছাড়া টেস্ট আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটিই প্রথম। ১৯৩৩ সালের পর এশিয়াতে সাতশর বেশি টেস্ট হলেও আগে কখনও এমন ঘটনার সাক্ষী হয়নি এশিয়া।
প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা টেস্ট নিশ্চিতভাবেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসের অংশ হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচ না হওয়ার পরও অবশ্য অনাকাঙ্খিত ভাবে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল!
মিরাজ