বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের)
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) গঠনতন্ত্রে ভোটাধিকার নেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) খেলা আটটি ক্লাবের! কিন্তু বিগত নির্বাচনগুলোতে ঠিকই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বিসিএলের ক্লাবগুলো। বাফুফের এই বিরাট ঘাটতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে এফসি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ডেলিগেট শাহাদাত হোসেন জুবায়েয়ের একটি পত্রে। জুবায়ের বাফুফেকে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ভোটাধিকার পাবেন ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে যাদের নাম বলা আছে, সেখানে বিসিএলের কথা উল্লেখ নেই।
বাফুফের ২১ ধারায় উল্লেখ আছে— কারা কারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বাফুফের নির্বাচনে। সেখানে সেখানে প্রথমেই আছে প্রফেশনাল বা বি-লিগের নাম। বি-লিগেরই দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে বিসিএল। কিন্তু বিসিএলের কোন ভোটাধিকারের কথা বাফুফের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই! যেটি আছে, সেটি হচ্ছে প্রথম বিভাগ বা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগের নাম। আর এ বিষয়টিকেই আসন্ন নিবৃাচনের আগে একটি ‘বিশাল ঘাটতি’ বলে আশঙ্কা করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে— ৮টি ভোটের ব্যবধানে গত নির্বাচনগুলোতে হেরেছেন, তাদের অবস্থান কি হবে? কারণ যাদের ভোটাধিকার নেই, তাদের ভোটেই তো নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে এখন আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
আসলে বাফুফের এই নতুন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে নারী লিগের ৪টি শীর্ষ ক্লাবকে ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে। এরপর থেকেই বাফুফের গঠনতন্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয় এবং বের হয়ে আসে বিশাল এক দুর্বলতা। আসন্ন বাফুফের নির্বাচনের আগে এখন এই দুর্বলতা কাটানোর কোন উপায়ই নেই। কারণ কিছু সংশোধন-সংয়োজন করতে হলে এজিএম ডাকতে হবে। সেটা ডাকার এখন কোন সুযোগ নেই। ফলে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে।
রুমেল//শহিদ