ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১

নাহিদের গতিতে রোমাঞ্চিত ডোনাল্ড

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাহিদের গতিতে রোমাঞ্চিত ডোনাল্ড

নাহিদ রানা ও অ্যালান ডোনাল্ড (কোলাজ)

পাকিস্তানে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে টাইগাররা। দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম টেস্টের নায়ক মুশফিকুর রহিম, দ্বিতীয় টেস্টে লিটন দাস। দূর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুন্যে সিরিজসেরা মেহেদি হাসান মিরাজ। আরও যারা দ্যুতি ছড়িয়েছেন নাহিদ রানা তাদের অন্যতম। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে গতির ঝড় তুলে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২১ বছর বয়সি ডানহাতি পেসারের একটি ডেলিভারি ছিল ১৫২ কিলোমিটার, টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ গতির নতুন রেকর্ড।     
 
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নাহিদ রানার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতভাবেই বড় এক অর্জন। বাংলাদেশ যেন খুঁজছিল এমনই এক পেসারকে। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ব্যাটারদেরও নাভিশ্বাস তুলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই গতিতারকা। নাহিদ রানার উত্থানটা চোখে না দেখলেও এই পেসারকে শুরুর দিনগুলোতে দেখেছিলেন দেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। নাহিদ রানার সঙ্গে প্রথম দেখার স্মৃতিচারণ করে প্রোটিয়া এ কিংবদন্তী বলেন,‘আমার মনে আছে চট্টগ্রামে আমরা একটা টেস্ট খেলেছিলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেখানে দুই দিন ধরে অনেক তরুণ পেস বোলাররা বোলিং অনুশীলন করছিল। এমন একজন তরুণ পেসারকে ওখানে দেখে বেশ ভাল লাগছিল।’কিছুটা পরামর্শের সুরে তিনি আরও যোগ করেন,‘আমি আসলে ইউটিউবে (নাহিদ রানার বোলিং) দেখছিলাম। কিছু বল ছিল ১৪৫ কিংবা ১৪৮ গতির। কিছু ১৫০ও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা আসলেই দারুণ বিষয়। টেকনিক্যাল দিক থেকে বলতে হয়, আরও কিছু জায়গায় উন্নতি হতে পারে।’ 

অবশ্য টেকনিক্যালি কেমন পরিবর্তন দরকার সেটা পুরোপুরি খোলাসা করেননি ডোনাল্ড,‘সেটা আমি এখনি বলতে পারছি না। তবে আমি তাকে দেখেছি। আর মনে  হয়েছিল, খুব সামান্য পরিবর্তন আনলে, বড় কিছু না, একেবারেই ছোট পরিবর্তন আনলে তার হাতে দারুণ সাফল্য আসবে। বাতাসে কিছুটা বল ভাসানো, বল ধরে রাখা। কিন্তু সবমিলিয়ে কী দারুণ বোলিংটাই না করলো এই তরুণ ছেলেটা।’  

বাংলাদেশের এই পেস-বোলিং গ্রুপকে আরও বড় আকারে দেখতে চান ডোনাল্ড,‘আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই অসাধারণ সব তরুণ পেসার পেয়েছি। গতকালও কিছু অসাধারণ বোলিং দেখেছি। তবে আমি যেমন ঢাকায় বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে বলেছি, মূল চ্যালেঞ্জ হলো– এই দলটাকে বড় করা। আরও কিছু পেসারকে দলে যুক্ত করা।  একটা পেস বোলিং গ্রুপকে আরও বড় হতে দেখা কিংবা আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে দেখার বিষয়টা সত্যিই অসাধারণ হবে।’

 

 

মিরাজ/শহিদ/

×