পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানক্র ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরবে বাংলাদেশি ভক্তদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস।
অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিয়ে স্বাগতিক পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিন ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আগের দিন বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন আরো ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় টাইগাররা। একই ভেন্যুতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
আগের দিন ৭ ওভার খেলেই বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলে বাংলাদেশ। জাকির হাসান টি২০ মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ২৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে পঞ্চম দিন সকালে তাকে সেই ছন্দে দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪০ রানে বিদায় নেন জাকির।
পেসার মির হামজার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে জাকির বোল্ড হয়েছেন। ফলে ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যায়। গত দুই বছরের মধ্যে ওপেনিং জুটিতে এটাই প্রথম পঞ্চাশোর্ধ রান।
সাদমান ইসলাম অনিকও তেমন স্বচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। ১৭ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান হামজার বলে। কিন্তু ২৪ রানে বিদায় নেন খুররম শাহজাদকে তুলে মারতে গিয়ে। ফলে ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে।
লাঞ্চ বিরতির পর অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এ জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন শান্ত। সালমান আলী আগার স্পিনে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ক্যাচ দেন তিনি ৮২ বলে ৫ চারে ৩৮ রানে। তখনও জয় থেকে ৫৮ রান দূরে বাংলাদেশ।এরপর দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম ২৬ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশকে। বেশ কয়েকবার এলোমেলো শট খেলে বেঁচে যাওয়া মুমিনুল ৭১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করে লেগস্পিনার আবরার আহমেদের শিকার হন।
এরপরে আর পাক বোলারদের সুযোগ দেননি মুশফিক ও সাকিব আল হাসান। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। মুশফিক ২২ ও সাকিব ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এটি বাংলাদেশের নবম সিরিজ জয়। তবে দেশের বাইরে মাত্র তৃতীয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আগের দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে ২ ড্র ও ১ জয় পেয়েছিল। এবার সবমিলিয়ে জিতল ৩ ম্যাচ।
মামুন/এম হাসান