ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

আসিফ-মিরাজুলদের সংবর্ধনা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরলেন বীর যুবারা

রুমেল খান

প্রকাশিত: ০১:১৫, ৩০ আগস্ট ২০২৪

শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরলেন বীর যুবারা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাফজয়ী বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বুধবার শিরোপা জিতে বৃহস্পতিবার বিমানযোগে দেশে ফিরেছে কোচ মারুফুল হকের দল। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে মিরাজুল ইসলামদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল।

কিন্তু ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় পিছিয়ে যায় বিজয়ীদের বরণ। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে অবতরণ করে জুনিয়র সাফজয়ীদের উড়িয়ে আনা ফ্লাইটটি। একটি সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইট বিলম্বের বিষয়টি আগেভাগে দলের কেউ কেউ জানলেও তা দলের ম্যানেজার গুরুত্ব দেননি। এ কারণে খেলোয়াড়রা আগভাগে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে এসে কিছুটা বিরক্ত হন। 
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে দাপটের সঙ্গে খেলে নেপালকে ৪-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। মিরাজুলের জোড়া গোলের পাশাপাশি গোল করেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের জন্য আর্থিক পুরস্কারেরও ঘোষণা দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। দলের প্রতি সদস্যকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ২৩ ফুটবলারসহ সাফজয়ী দলের মোট সদস্য ৩৪ জন।

বাকিরা কোচ এবং কর্মকর্তা। সে হিসেবে পুরো দলের জন্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক তার শিষ্যদের এই টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করে দিতে বলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যে যুব ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে, সেটা বৃহস্পতিবারই সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। 
বিমানযোগে ঢাকা পৌঁছে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। শিরোপা জিতে অনেক খুশি। ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ নেপাল তাদের আগের তিন ম্যাচে প্লেয়িং স্টাইল চেঞ্জ করেনি।

একই ধাঁচে খেলেছে। এটা নোটিস করেছিলাম। আমার চ্যালেঞ্জটা ছিল বহুমুখী। যেমন আমরা এখান থেকে মাত্র ১৫ দিনের ট্রেনিং করে গিয়েছি, সেখানে গিয়ে প্রতিটি ম্যাচ খেলার মাঝে খুব বেশি বিরতি পাইনি, রিকভারি করার সময়ও তেমন পাইনি, তারপরও টিমকে ফুল রিকভারি করনোর চেষ্টা করেছি। খেলতেও হয়েছে গরমের মধ্যে, ওখানকার এ ধরনের টার্ফে খেলে আমাদের ছেলেরা অভ্যস্ত না।

ফাইনালে আমাদের পরিকল্পনা ছিল আগে ওদেরকে অ্যাটাক করতে দিয়ে নিজেদের দিকে টেনে আনা। তারপর কাউন্টার অ্যাটাক করে গোল আদায় করা। কিন্তু প্রথম দশ মিনিটে ওদের আক্রমণের তোড়ে আমরা অনেক বেশি মানসিক চাপ নিয়ে ফেলছিলাম। তাছাড়া মাঠের ক্রাউডও সব ওদের পক্ষে। তখন আমি স্ট্র্যাটেজি চেঞ্জ করা প্লেয়ারদের পজিশনাল চেঞ্জ করিয়ে খেলালাম। এবং সবশেষে এটারই রেজাল্ট আমরা পেয়েছি।’
শিরোপাজয়ী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার গল্পও শোনান মারুফুল, ‘আমাকে যখন এই দলের কোচের অফার দেয়া হলো, তখন প্রথমেই আমি খেলোয়াড় তালিকাটা দেখলাম। দেখলাম এদের আগে কখনো কোচিং না করালেও অনেককেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। এইজ লেভেলে ওদের পারফরম্যান্স আমি দেখেছি। তখন আমার মনে হয়েছে ওদের দিয়ে সাফ অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা সম্ভব। এই আত্মবিশ্বাস থেকেই দায়িত্বটা নিয়েছি।’

×