ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন
২০২০ সালের বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে তাকে অংশ নিতে দেয়নি তৎকালীন সরকার। বরং হয়রানির শিকার হয়েছেন পদে পদে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে নানা পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তার। বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে একজন ‘অদক্ষ’ সংগঠক বলে মনে করেন তিনি। আসন্ন বাফুফের নির্বাচনে তো বটেই, অনেক ফুটবলপ্রেমীই পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তাকে।
তাদের প্রত্যাশা পূরণ নিয়ে এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও আভাস দিয়েছেন এ নিয়ে ভাবছেন, কাজ করছেন এবং নির্বাচনে হয়তো তাকে দেখা যেতেও পারে! যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠক, তৃণমূল ফুটবলের রূপকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ক্লাবস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন।
দক্ষ সংগঠক হিসেবেই নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা প্রমাণ করেছেন তরফদার। খেলাধুলার প্রতি যার রয়েছে দুর্বলতা। ক্রীড়া সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকÑ দুই ভূমিকাতেই উজ্জ্বল তিনি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সারা দেশে জেলা ফুটবল লিগ আয়োজনে তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান।
২০১৬ নির্বাচনে জেতার পর সালাউদ্দিন বলেছিলেন এটাই তার শেষ ‘টার্ম’।
ফলে তরফদার ২০২০ নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। কিন্তু সালাউদ্দিন পরে ভোল পাল্টে ফেলে আবারও নির্র্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। শুরু হয় নাটক। তরফদার হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এর কারণ তখন যেটা ব্যাখ্যা করেছিলেন, এত বছর পর জানালেন সেই ব্যাখ্যাটা স্বেচ্ছায় দেননি, ‘আমাকে আসলে তখন নির্বাচনে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। বলা হলো আমি যেন নির্বাচনের মাঠেই না থাকি। এমনকি আমাকে বিদেশে চলে যেতে হয়েছিল। তারপরও রেহাই মেলেনি।’
জনকণ্ঠকে তরফদার বলেন, ‘আসন্ন (অক্টাবরে) বাফুফের নির্বাচনে অংশ নেব কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ২০২০ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়েও পারিনি। এজন্য পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেসময় গভর্মেন্টের বিভিন্ন সংস্থা আমাদের ইনকোয়ারি ফর্ম করে দিয়েছে। সেগুলো এখনো হ্যাংগিং অবস্থায় আছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ আমরা তো অনেক নির্যাতিত হয়েছি।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ফুটবলপ্রেমীই বলেছেন তারা বাফুফের সভাপতির পদে তরফদারকে দেখতে চান। এ প্রসঙ্গে তরফদারের প্রতিক্রিয়া, ‘হ্যাঁ, এটা জানি। ওরা তো বলবেই। কেননা অতীতে (২০১৬-২০২০ পর্যন্ত) ফুটবল নিয়ে আমি দেশব্যাপী ব্যাপক কাজ করেছি। ফুটবলে রীতিমতো একটা হাইপ সৃষ্টি করে ফেলেছিলাম সবাইকে নিয়ে।
সবাই জানে এটা। তাই ওরা হয়তো এখন চাচ্ছে আমি এলে আবারও সেরকম কিছু করতে পারব। কিন্তু যেভাবে শারীরিক-মানসিক-আর্থিক-সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, সেটা তো এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তো, সবকিছু মিলিয়েই চিন্তাভাবনা করছি এবারের নির্বাচনে অংশ নেব কি নেব না। তা ছাড়া প্রেজেন্ট গভর্মেন্টের ডিফল্টেও কথা বলার চেষ্টা করছি।
কারণ এখানে যদি আবারও পলিটিক্যাল কোনো কিছু চলে আসে যে না, এক গ্রুপ করতে পারবে, অন্য গ্রুপ করতে পারবে না। এমন কিছু হলে তো সেটা আরেকটা সমস্যা। এজন্য অবর্জাভ করছি, বিভিন্ন লেভেলে কথা বলছি। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তখন হয়তো চিন্তা করা যেতে পারে। তাছাড়াও অনেক ইস্যু আছে। দেখা যাক।’