ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১

ভুটান গেলেন বাংলাদেশের চার ফুটবলার

রুমেল খান

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ১৩ আগস্ট ২০২৪

ভুটান গেলেন বাংলাদেশের চার ফুটবলার

বাঁ থেকে চার নারী ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া ও মনিকা

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অধীনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিতে সোমবার ভুটানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার। এরা হলেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা  চাকমা এবং মারিয়া মান্দা।  
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) গাফিলতির কারণে এই আসরে অংশ নিতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল দল (নানা ইস্যুতে এই ক্লাবের সঙ্গে বাফুফের সম্পর্কের টানাপোড়েন আছে)।

ফলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে জায়গা পায়নি বাংলাদেশী কোনো ক্লাব। তারপরও টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার। ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলবেন তারা। তাদের সঙ্গে তিন সপ্তাহের (১০-৩১ আগস্ট) চুক্তি করেছে ক্লাবটি।
অথচ বাফুফে শুরুতে মনিকাদের এই ক্লাবে খেলতে দিতে চায়নি। এখানেও ‘গোঁয়ার্তুমি’ করেছিল তারা। নির্দিষ্ট করে বললে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি প্রথমে ঋতুপর্ণাদের ছাড়পত্র দিতে চাননি! পরে মেয়েদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে, সে ভাবনা থেকেই শেষমেশ অনুমতি দিতে বাধ্য হন। 
‘ডি’ গ্রুপে আছে ভুটানের এই ক্লাবটি। প্রতিপক্ষ ইরানের বাম খাতুন ফুটবল ক্লাব ও হংকংয়ের কিচে স্পোর্টস ক্লাব। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ ২৫ এবং ২৮ আগস্ট। গত ১ আগস্ট কিরণ সাবিনাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ভুটানের রয়্যাল থিম্পু স্পোর্টিং ক্লাব আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে আমাদের চার নারী ফুটবলারকে তাদের দলে খেলাতে চায়।

প্রথমে আমরা রাজি ছিলাম না। পরে দেখলাম ক্লাবটি এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে। সেক্ষেত্রে আমাদের মেয়েরা এই আসর খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে ও উপকৃত হবে। ফলে আগামী অক্টোবরে সাফের আগে তারা নিজেদের ভালোমতো প্রস্তুত করতে পারবে। সেজন্য আমরা ইতোমধ্যেই ওদের হ্যাঁ বলে দিয়েছি এবং এ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নিদের্শ দিয়ে দিয়েছি।’ কিরণ আরও বলেন, ‘তবে আমি মেয়েদের একটি কন্ডিশন দিয়েছি।

তারা যেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সেফ করে খেলে। কেননা ইনজুরিতে পড়লে পরে সাফের আগে সেরে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে না।’ অবশ্য এর আগেও বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা বিদেশের ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। সাবিনা খাতুন দুই দফায় মালদ্বীপের দুটি ক্লাবে, ভারতের দুটি ক্লাবে, কৃষ্ণা রানী সরকার ও সানজিদা আক্তার ভারতের একটি ক্লাবে, সুমাইয়া মাতসুশিমা মালদ্বীপের একটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।

×