ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সালাউদ্দিন-কিরণদের পদত্যাগ চান আসলাম

রুমেল খান

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৮ আগস্ট ২০২৪

সালাউদ্দিন-কিরণদের পদত্যাগ চান আসলাম

শেখ মো. আসলাম

দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনেও পরিবর্তনের জোর দাবি তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণের পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় ফ্যান গ্রুপ ‘বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস।’

বাফুফে সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আল্ট্রাস কে? আমি তো ওদের চিনি না। ফুটবলে ওদের কি অবদান আছে?’ এ কথার মাধ্যমেই সালাউদ্দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। বিষয়টা নজরে এসেছে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার এবং লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক (১৭৭) শেখ মো. আসলামের।

জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘সালাউদ্দিনের অপসারণ নিয়ে আগের মতো এখনো তেমনই সোচ্চার আছি। আল্ট্রাসদের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই আজকে যে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মাধ্যমে একটা রেভ্যুলেশন হয়েছে, আমিও চাই ক্রীড়াঙ্গনেÑ বিশেষ করে ফুটবলেও একটা পরিবর্তন আসুক। এবং ভালো লোকজনকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক, যারা ফুটবলটাকে বাঁচাবে।’ 
৬৬ বছর বয়সী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত আসলাম আরও বলেন, ‘আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করার জন্য যে সর্বোচ্চ বয়সের সীমা আছে, সেটা সালাউদ্দিনের নেই। আমার জানামতে ৭০ বছর পর্যন্ত নির্বাচন করা যায়। সেক্ষেত্রে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তার বয়স ৭১ পূর্ণ হবে। অথচ বাফুফের নির্বাচন অক্টোবরে।’   
আসলামের মতে, ক্রীড়াই একটি জাতির পরিচিতি। ক্রীড়াই পারে বহির্বিশ্বে জানান দিতে যে বাংলাদেশ নামে একটা দেশ আছে। ‘এই জায়গায়টায় সংস্কার মাধ্যমে ফুটবলকে একটা উচ্চতর জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে চাই। আশাকরি সংস্কারের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব। যারা সালাউদ্দিন-মুর্শেদী-কিরণের পদত্যাগ চেয়ে দাবি তুলেছে, আমি তাদের সঙ্গে একমত।

ওনাদের অনেকদিন হয়েছে, এখন সময় হয়েছে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়াবার। তাহলেই দেশের ফুটবলে একটা সুবাতাস বইবে। এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।’ আসলাম সবশেষে আরও বলেন, ‘তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে এই তিনজনকে জোর করে পদত্যাগ করালে ফিফা কিন্তু বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করবে।

সেক্ষেত্রে আনোদালনকারীদের উচিত ফিফাকে পেপার কাটিংয় পাঠিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতির চিত্র জানানো (ফিফা নিশ্চয়ই ইতোমধ্যেই এসব জানে)। এতে ফিফা নিশ্চয়ই তাদের যৌক্তিক দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং পদত্যাগের বিষয়টিও মেনে নেবে।’

×