ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

‘বিশ্বাস করি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারব’

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫০, ২৮ জুন ২০২৪

‘বিশ্বাস করি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারব’

জয়ের আনন্দ দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ও পেসার রাবাদার (ডানে)

শিরোপার স্বপ্নটা এইডেন মার্করাম দেখতেই পারেন। কারণ উইন্ডিজ বিশ্বকাপে তিনি যা করেছেন, প্রোটিয়াদের জন্য সেটাই নতুন ইতিহাস। ওয়ানডে ও টি২০ বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাত-সাতবার সেমিফাইনালে হারের পর অবশেষে ফাইনালের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকা। ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিতে ৯ উইকেটের জয়ের পথে আফগানিস্তানের রূপকথার যাত্রা থামিয়ে দিয়েছে মার্করাম ও তার দল।

সেই গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইট- সাতটি ম্যাচের জিতলেও সেখানে বেশিরভাগ ম্যাচই ছিল ভীষণ ক্লোজ, দু-একবার তো হারতে হারতেও বেঁচে গেছে প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়ের পর মার্করাম বলেছিলেন, এমন ম্যাচ আর খেলতে চান না, লক্ষ্য দাপুটে পারফর্ম্যান্স। আর সেমিতে সেটি করতে পেরে ফাইনাল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবার ‘আসল’ ট্রফির স্বপ্নে বিভোর। ‘ভালো লাগছে।

এটি একটি দলীয় প্রচেষ্টার ফল। শিরোপা জেতার জন্য আরও একটি ধাপ পার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। টস হেরে যাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।  আমরা আগে কখনো (ফাইনাল) সেখানে যাইনি। কিন্তু অনেক বিশ্বাস আছে। আমাদের দলটা পরিপূর্ণ। যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখায় যায়।’ সেমিতে আফগানিস্তানকে হারানোর পর বলেন মার্করাম। শনিবার বার্বাডোজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ভারত অথবা ইংল্যান্ড, যেটি গতরাতেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। মার্করাম বলেন, ‘এটি একটি দলগত পারফর্ম্যান্স।

পাশাপাশি পর্দার আড়ালে অনেক লোকের সাহায্য। গোটা আসরে  আমরা কিছুটা ভাগ্যের সাহায্যও পেয়েছি। কেননা আমরা কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচ  খেলেছি। খুশি আজ একটু বেশি স্বস্তিদায়ক ছিল। এটা (ফাইনালে) আমাদের জন্য আরও এক ধাপ, এটা এমন একটা সুযোগ যা আমরা কখনো আগে পাইনি। এবার সেরা অর্জনের জন্য সবাইকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে।’ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ আইসিসি নকআউট ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৈশ্বিক আসরে সেটিই প্রোটিয়াদের একমাত্র শিরোপা। তবে বিশ্বকাপের সঙ্গে কি আর তার তুলনা চলে। ওয়ানডে ও টি২০ বিশ্বকাপে সাতবার সেমিতে হারের পর অবশেষে ফাইনালে উঠতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। 
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু একটি বিশ্বকাপ জিতেছে, সেটি এই মার্করামেরই নেতৃত্বে! ২০১৪ সালে। সেবার ৬ ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছিল প্রোটিয়া যুবারা।

×