জেমস অ্যান্ডারসন
বোলিংয়ের ধার যে খুব একটা কমেছে তাও নয়, ফিটনেসের বিচারে এখনো তরুণদের টেক্কা দিতে সক্ষম, বয়সটাই কী তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াল জেমস অ্যান্ডারসনের জন্য? প্রশ্নটা অমূলক নয়। দুদিন আগে ইংল্যান্ডের সাদা পোশাকের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বলেছিলেন, ‘২০২৫-২০২৬ মৌসুমে জিমির বয়স হবে ৪৩। অ্যাশেজের জন্য শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে আমাদের এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। বিষয়টা জানিয়ে দিতে নিউজিল্যান্ড থেকে ১১ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি।’
৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন এরপরই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন। টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র পেসার হিসেবে ৭শ’ উইকেট শিকারি কিংবদন্তি ক্রিকেটার জানিয়ে দিলেন আগামী ১০ জুলাই ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টটাই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
‘লর্ডসে গ্রীষ্মের প্রথম ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হতে যাচ্ছে’- শনিবার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন অ্যান্ডারসন। হোক না বয়স ৪২-এর দোরাগোড়ায়, এখনো ফিটনেস ধরে রেখেছেন, বোলিং করছেন পূর্ণ ছন্দে, তাহলে কেন এই বিদায়?, ‘যে খেলাটা আমি শৈশব থেকে ভালোবাসতাম, সেটিতে অবিশ্বাস্য ২০টি বছর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামাটা আমি মিস করব।
তবে আমি জানি, এখনই সরে যাওয়া এবং আমার মতো অন্যদেরও স্বপ্নপূরণের পথ করে দেওয়ার সঠিক সময়, যে অনুভূতির চেয়ে বড় কিছু হয় না।’ স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মা ছাড়া এত দূর পাড়ি দেওয়া যেত না উল্লেখ করে ক্যারিয়ারে যেসব খেলোয়াড় ও কোচকে পেয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ২০০৩ সালে ২১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন অ্যান্ডারসন।
১৯৪ ওয়ানডের শেষটি খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে, টি২০ আরও আগে, ২০০৯ সালে (১৯টি)। অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে শুধু টেস্টই খেলে আসছিলেন। তাঁর খেলা ১৮৭ টেস্ট যে কোনো পেসারের জন্য সর্বোচ্চ, সর্বোচ্চ ৭০০ উইকেটও।