ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গ্যালারী থেকে সাকিবকে ‘ভুয়া’ স্লোগান

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গ্যালারী থেকে সাকিবকে ‘ভুয়া’ স্লোগান

সাকিব আল হাসান

বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচের ঘটনা। খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি রংপুর রাইডার্স। ক্লাব হাউজের দিকে ফিল্ডিং করতে গেলেই দুয়োধ্বনি শুনেছেন সাকিব আল হাসান। গ্যালারি থেকে একযোগে চিৎকবার করেছেন অনেকেই ‘ভুয়া… ভুয়া…।’ একটা পর্যায়ে সাকিবকে আর সেদিকে ফিল্ডিং করতে পাঠাননি রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। 

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা সাকিব অবশেষে জ্বলে উঠলেন। এই দিনটিকেই সোহান বেছে নিলেন জবাব দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের মাঠে যে কোনো ম্যাচ বা টুর্নামেন্টে সাকিবকে দুয়ো দেওয়ার ঘটনা বিরল বটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই হয়ে হয়ে উঠেছিল নিয়মিত চিত্র।  

সিলেটে পরে আরও তিন ম্যাচ খেলেছে রংপুর। পরের দুই ম্যাচেও সাকিবের দিকে প্রচ্ছন্নভাবে গ্যালারি থেকে ভেসে আসে দুয়োধ্বনি। এমনকি ডাগ আউটে হেলমেট পরে বসে থাকা সাকিবকে বড় পর্দায় দেখেও দুয়ো দেন মাঠের দর্শকদের একটি অংশ।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বদল আসে ওই চিত্রে। ম্যাচ জিতে সাকিব কাছে যেতেই ‘সাকিব’, ‘সাকিব’ ধ্বনি শোনা যায় গ্যালারি থেকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের থেকে যা গত দেড় যুগের স্বাভাবিক চিত্র। ব্যাটে-বলে অনেক আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেওয়া সাকিবকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সবসময় মাতামাতি করেন দর্শকরা।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েই দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের দিকে দুয়োধ্বনি ছুঁড়ছেন দর্শকরা। ভারতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের মধ্যে ছোট্ট বিরতিতে যখন দেশে ফিরেছিলেন তিনি, তখন থেকেই শুরু হয়। খুবই ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া ওই চর্চা বিপিএল দিয়ে ধারণ করে বড় আকার। যা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে সাকিবের সতীর্থ ক্রিকেটারদেরও মনে।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সেই ক্ষোভের প্রকাশই মিশে থাকল সাকিবের কণ্ঠে।

“আমাদের ক্রিকেটের এই জায়গা আসার পেছনে সাকিব ভাইয়ের অনেক বেশি অবদান। সেদিক থেকে আমার মনে হয়, আমরা খুব বেশি অকৃতজ্ঞ যে খুব তাড়াতাড়ি সব ভুলে যাই। অনেক সময় মাঠে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে... আমাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মানা যায়, তার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা গ্রহণযোগ্য নয়।”

চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিব এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ভুগেছেন ব্যাট হাতে। আগের তিন ইনিংসে মিলিয়ে রান করেছিলেন ৪। এক ম্যাচে রংপুরের ১০ ব্যাটসম্যান ক্রিজে গেলেও তিনি নামেনি। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে চার নম্বরে নামলেও আউট হয়ে যান প্রথম বলে।

অবশেষে মঙ্গলবার ঢাকার বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। পরে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সাকিবের ৪১তম ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি এটি। কাইরন পোলার্ড ও অ্যালেক্স হেলসকে ছুঁয়ে শোয়েব মালিক ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের আরও কাছে পৌঁছালেন তিনি। দুজনেরই ম্যাচ সেরা ৪২টি। সবার ওপরে ক্রিস গেইল। সেরা হয়েছেন তিনি ৬০  বার।

 

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×