রিচার্ড অ্যালান কেটেলবরা
তিনি ম্যাচ পরিচালনা করলেই আইসিসি ট্রফি বা বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে ভারত হেরে যায়। এটি কিন্তু কাকতালীয় কোনো ঘটনা নয়। একটি দুটি ম্যাচে এমন হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে টানা পাঁচবার তো আর এমন হতে পারে না। কিন্তু ঠিক এমনটাই ঘটেছে ভারতের সঙ্গে। নক আউটে এই আম্পায়ার থাকলেই ভারত ম্যাচ হারে!
তিনি হচ্ছেন রিচার্ড অ্যালান কেটেলবরা। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার তিনি। খেলার মাঠে খারাপ সিদ্ধান্ত নিতে তাকে খুবই কম দেখা গেছে। এবার ফাইনালের আগের ভারত সমর্থকদের আতঙ্কের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আম্পায়ার।
ভারতীয়রা স্বপ্ন দেখছেন, এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত। আজ রোববার ঘরের মাঠের ফাইনালে ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই সেই স্বপ্ন ছুঁতে পারবেন কোহলি-রোহিতরা। স্বপ্ন ছোঁয়ার আনন্দ স্পর্শ করবে শতকোটি ভারতীয়দের। কিন্তু সেই স্বপ্নের সিঁড়িতে কাঁটা হয়ে যেন বসে আছেন কেটেলবরা। ভারতীয় ক্রিকেটভক্তরা তাকে ‘অপয়া’ আম্পায়ার বলেই ডাকেন।
শুরুটা ২০১৪ থেকে। সে বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন কেটেলবরো। ম্যাচটা হেরে বসে ভারত। তার ঠিক পরের বছরই ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। আম্পায়ার ছিলেন এই কেটেলবরোই। এ ম্যাচও হারে ভারত।
এর পরের গল্প ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের। খেলা ছিল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আম্পায়ার কে বুঝতেই পারছেন। ভারত জিততে পারেনি ম্যাচটা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রচনা হয় একই স্মৃতি। ভারত ম্যাচ হারে পাকিস্তানের কাছে। এতগুলো পরিসংখ্যানকে কেউই হেলা করতে পারবে না। কাকতালীয়, মন্দভাগ্য নাকি ‘অপয়া’ আম্পায়ার সে কারণ তাই ভাবনার বিষয়।
২০১৯ এ ফিরে তাকানো যাক, সে বছরের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে যায় নিউজিল্যান্ড। আম্পায়ার কেটেলবরো। আর ম্যাচটা সেবারও হেরেছিল ভারত। অর্থাৎ টানা পাঁচটি ম্যাচেই তিনি আম্পায়ার, আর পাঁচ ম্যাচেই ভারতের হার।
তবে ২০২৩ এর ভারত যতটা অপ্রতিরুদ্ধ তাতে কোহলি ভক্তরা আশা করতেই পারেন এবার অন্তত কাপটা জিতুক। মিথ্যে প্রমাণ করুক ‘আম্পায়ারিং অপয়াতত্ত্ব’। এখন দেখার বিষয় কতটুকু পারেন ভিরাট, শুভমনরা।
এবি