ইংল্যান্ড
এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন প্রায় শেষ। বেঁচে আছে এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্ন। এমন এক বাস্তবতায় এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ বিশ্বকাপে মাঠে নামছে নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য উভয় দলেরই আজকের ম্যাচটি মহা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সময় আড়াইটায় পুনেতে ম্যাচটি শুরু হবে।
আগামী ২০২৫ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে। এবারের বিশ্বকাপ সেই ট্রফির বাছাই পর্ব হিসেবে কাজ করছে। বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপে সবার নিচে থাকা দুই দলকে সে সময় দর্শক হয়ে থাকতে হবে, যেমনটা বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে।
দশ দলের বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বর্তমানে সবার নিচে। সাত ম্যাচ থেকে এক জয়ে দুই পয়েন্ট তাদের। সে তুলনায় সুবিধানজক অবস্থায় আছে নেদারল্যান্ডস। আজকের ম্যাচে জয় নেদারল্যান্ডসের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা অনেকটা নিশ্চিত করে দেবে। শুধু তাই নয়, ডাচদের এই জয় ক্রিকেট ইতিহাসে স্থান করে নেবে। ইংল্যান্ডের জয় পয়েন্ট টেবিলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরিয়ে আনবে। পয়েন্ট টেবিলের সর্বনিম্ন দুই স্থান এড়ানোর জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হবে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ড- চার দলের পয়েন্ট হবে চার।
পরিসংখ্যান অবশ্য আজকের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে আশাবাদী করছে। এ পর্যন্ত উভয় দল ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিবারই ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে। এর মধ্যে তিনবারই বিশ্বকাপে। ১৯৯৬, ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে এবারের টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের জন্য পরিসংখ্যান খুব একটা কাজে আসছে না।
গত বিশ্বকাপে যে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে এবার ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়। পরের ম্যাচে তারা বাংলাদেশে হারিয়ে জয়ের ট্রাকে আসে। এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ওই এক জয়। তারপর থেকে হারের বৃত্তে ঘোরাফেরা করছে তারা। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এখন সবার নিচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই শঙ্কাপূর্ণ ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না ইংল্যান্ড। হাঁটুর ইনজুরির কারণে মার্ক উড খেলতে পারবেন না। নেদারল্যান্ডস দলেও পরিবর্তন আসতে পারে।
এবি