সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
সাকিব আল হাসানের ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর উইকেটে নেমে স্ট্রাইক নেওয়ার কথা লঙ্কান মিডল অর্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের। কিন্তু সম্ভবত ভুল হেলমেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ম্যাথিউজ। যে কারণে তিনি ঠিকমতো মাথায় হেলমেট পরিধান করতে পারছিলেন না। ফলে বার বার স্ট্র্যাপ লাগানোর চেষ্টা করছিলেন এবং ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারা করেন নতুন হেলমেট আনার জন্য।
এদিকে, এরইমধ্যে নিয়ম অনুযায়ী ২ মিনিট পার হয়ে যায়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আম্পায়ারের কাছে আবেদন জানান টাইম আউটের।
আম্পায়ারও দেখলেন, সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার পর ২ মিনিট পার হয়ে গেছে, কিন্তু নতুন ব্যাটার ম্যাথিউজ ব্যাটিংয়ের জন্য গার্ড নিতে পারেননি। ফলে ক্রিকেটের একটি নিয়মের এই প্রথম প্রয়োগ ঘটলো কোনো ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মারিয়ার ইরাসমাস টাইমড আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে আঙুল তুলে দেন।
এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে ম্যাথিউজকে দেখা যায় কিছুক্ষণ আলোচনা করতে। হয়তো ওই সময় আম্পায়ার ম্যাথিউজকে ক্রিকেটের আইনটি নতুন করে বুঝিয়ে দেন। সাকিবের সঙ্গে ম্যাথিউজ কথা বলার জন্য গেলে তাকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ক্রিকেটের আইনে (এমসিসি’র ওয়েবসাইটে) এ নিয়ম সম্পর্কে লেখা হয়েছে। সেখানে ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবেন। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন, টাইমড আউট।’
তবে বিশ্বকাপে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, ৩ মিনিট নয়, ব্যাটারকে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে ২ মিনিটের মধ্যে। হেলমেট বদলাতে গিয়ে ম্যাথিউজ ওই সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আপিল এবং ক্রিকেটের আইন, সব মিলিয়ে আউট দেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাসের।
এর আগে ২০০৬-০৭ মৌসুমে নিউল্যান্ডস টেস্টে শচিন টেন্ডুলকার ক্রিজে ঢুকতে দেরি করার পরও টাইমড আউটের আবেদন করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার সে সময়ের অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।
এম হাসান