অস্ট্রেলিয়ার উল্লাস।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৬৮ রানের টার্গেট তারা করতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করেছে পাকিস্তান। ফলে অজিদের কাছে ৬২ রানে হারল বাবর আজমরা।
৩৬৮ রানের টার্গেট তারা করতে নেমে শুরু থেকেই হাল ধরে খেলে দুই পাক ওপেনার। দলীয় ১৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিক আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর পর উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ইমাম উল হক।
এর আগে, প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও মার্শ। কোনো পাক বোলারই পাত্তা পাচ্ছিলো না অজি ব্যাটারদের কাছে। ফলে এই দুইজন জুটি গড়েন ২৫৯ রানের।
৩৩.৪ ওভারে চলাকালে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। শর্ট ফাইন লেগে উসামা মীরের হাতে ক্যাচ দিলেন মার্শ। ১০৮ বলে ১২১ রানের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি আর ৯টি ছক্কা হাঁকান মার্শ। বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি ভাঙার পরের বলে আরো একটি উইকেট তুলে নেন আফ্রিদি। মিডঅনে তুলে মারতে গিয়ে বাবর আজমের কাছে ক্যাচ তুলে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কোনো রান না করেই তিনি ফিরে যান।
মার্শ আউট হওয়ার পরও অজিদের রানের চাকা চলতেই থাকে। তবে কেউই যেন ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। রানের সঙ্গে সমান তালে উইকেটেরও পতন হতে থাকে। দলীয় রান যখন ৩২৫, তখন হারিসে রউফের আউট হন ওয়ার্নার। ১৪টি চার ও ৯টি ছয়ের সাহায্যে ১২৪ বলে ওয়ার্নার করেন ১৬৩ রান। কিন্তু এরপর অজিদের রানের চাকা আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে অসেট্রলিয়া।
এম হাসান