ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের জন্য বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা বড় প্রতিপক্ষ

পুনের মাঠে বোলারদের বড় চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

পুনের মাঠে বোলারদের বড় চ্যালেঞ্জ

দুই কৃতী বোলার শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান

রানের ফোয়ারা ছুটবে পুনের মাঠটিতে। সেটি নিশ্চিতভাবেই বলা যাচ্ছে এখানকার ছোট আকৃতির মাঠ এবং পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে। খুব বেশি ওয়ানডে এখানে হয়নি, তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছে। অধিকাংশ সময়ই অনেক বেশি রান হয়েছে। আর এখানে মহাতারকা বিরাট কোহলি ব্যাটিংটাকে অনেক উপভোগ করেন। ৭ ওয়ানডে খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে সর্বাধিক ৪৪৮ রান করেছেন তিনি এখানে ৬৪ গড়ে। এ ছাড়া রোহিত শর্মা আছেন ফর্মের তুঙ্গে। ওয়ানডেতে সবসময়ই বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ সফল এ দুজন এবং সর্বাধিক রানও তাদের। তাই নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশী বোলারদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করছে। এই ভেন্যুতে প্রচুর রান হয়ে থাকে, তবে পেসাররা বেশ সফল। তবে মাঠের আকৃতি ছোট হওয়ায় ব্যাটাররাই সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেজন্য বোলারদের জন্য এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের পেসাররা চলতি বিশ^কাপে আবার ফর্মে নেই। তাই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও বড়।
পুনেতে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৭ ওয়ানডের ১৪ ইনিংসে আটটিতেই ৩ শতাধিক রান হয়েছে। দুটি সাড়ে তিনশ’ পেরোনো সংগ্রহও আছে। আড়াই বছর আগে সর্বশেষ এখানে ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে একটি ম্যাচে ভারতের ৩৩৬ রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড এবং আরেক ম্যাচে ভারতের ৩২৯ রানের জবাবে ইংলিশরা করেছে ৩২২ রান। কোহলি এই মাঠে ওয়ানডে রানের দিক থেকে বেশ এগিয়ে। চলতি আসরে ৩ ম্যাচের দুটিতেই ফিফটি পাওয়া কোহলি এই ভেন্যুতে সর্বাধিক ৪৪৮ রান করেছেন। তার ধারেকাছেও কেউ নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সবচেয়ে বেশি রান তার ভারতীয় দলের মধ্যে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে ৬৭.২৫ গড়ে ৮০৭ রান করেছেন কোহলি। দ্বিতীয় স্থানে রোহিত ১৬ ম্যাচে ৫৬.৭৬ গড়ে ৭৩৮ রান করে। যদিও এই ভেন্যুতে ভালো করতে পারেননি রোহিত, ৬ ম্যাচে কোনো ফিফটি ছাড়া করেছেন ২৪.৫০ গড়ে মাত্র ১৪৭ রান। তবে এই বিশ^কাপে গত দুই ম্যাচে ১৩১ ও ৮৬ রান করা রোহিত এবার বাংলাদেশকে পেয়ে জ¦লে উঠতেই চাইবেন। 
কোহলি-রোহিত বড় প্রতিপক্ষ হবেন বাংলাদেশের বোলারদের জন্য। পুনেতে ৭ ওয়ানডেতে ২৬ উইকেট পেয়েছেন স্পিনাররা, কিন্তু ৭৮ উইকেট আছে পেসারদের। অথচ বাংলাদেশের পেসাররা এখন পর্যন্ত তেমন সুবিধা করতে পারেননি চলমান আসরে। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৩ ম্যাচে ২টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেও অন্য দু’জনের তুলনায় প্রচুর রান খরচা করেছেন। এই উইকেট নিয়ে ভারতীয় বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, ‘উইকেট যদি দেখেন, সবসময়ই এটা ভালো উইকেট।

যেকোনো ম্যাচেই, টি২০ হোক বা ওয়ানডে ধারাবাহিকভাবেই এটা ভালো উইকেট। বোলিং ইউনিট হিসেবে এটা চ্যালেঞ্জিং উইকেট। কারণ বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে আসে। অন্য ভেন্যুগুলোর তুলনায় মাঠ ছোট। (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে) বেশ উঁচুতে এই মাঠ। এজন্য আমার মনে হয়, অনেক বেশি চার-ছক্কা হবে। কাজেই কাজটা চ্যালেঞ্জিং (বোলারদের জন্য)।’ স্পিনারদের জন্য তাই আরও কঠিন হবে এই মাঠ। যদিও ভারতীয় বোলারদের জন্যও একই। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা তো ফর্মেই নেই, তারা কি পরীক্ষায় ফেলতে পারবেন ভারতের ফর্মে থাকা বোলারদের?

×