ছবি: সংগৃহীত।
গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট জয়-পরাজয় থাকবেই, কিন্তু আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রানার্সাআপ নিউজিল্যান্ডের কাছে ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এমন অসহায় আত্মসমর্পণে অবাঁক করেছে সবাইকে।
আরও পড়ুন :ভারতের আতিথেয়তায় বিস্মিত পাক অধিনায়ক বাবর
২৮২ রান করে তারা হেরেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে, তাও ৮২ বল আগে। তবে এ নিয়ে ভীত নন অধিনায়ক জস বাটলার,‘মাঝে মাঝে আপনি যেভাবে চাইবেন, সেভাবে পারবেন না। সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে, সবার প্রস্তুতি ভালো। তবে আমরা একটু নিষ্প্রভ ছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন আপনি একটু পিছিয়ে থাকবেন আর প্রতিপক্ষ অনেক ভালো খেলবে, আপনি ম্যাচ হারবেন। আমাদের অনেক কাজ করার আছে, দীর্ঘ একটি টুর্নামেন্টে আরও ভালো করার সুযোগ আছে। যেমনটি বললাম, এটি একটি হার মাত্র। পরের ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়াতে চাই।’ ইংল্যান্ডের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার, ধর্মশালায়, বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ওয়ানডে ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ পাঁচ ইনিংসের তিনটিই ইংল্যান্ডের, পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে আছে ৪৯৮ রান। পরের দুটি ৪৮১ ও ৪৪৪ রানের। হট-ফেভারিট সেই দলটা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেটি তাদের সঙ্গে যায় না। ফিফটি মাত্র একটি। সবার প্রচেষ্টায় ২৮২ রান করলেও, রান-বন্যার কন্ডিশনে সেটি যে মোটেই যথেষ্ঠ ছিল না, ম্যাচের ফলই তার প্রমাণ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। ইংল্যান্ডের ১১ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, ওয়ানডে ইতিহাসে যা নতুন রেকর্ড। একাধিক ব্যাটার ভাল শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ‘অনেকগুলো ভালো শুরু হয়েছে। তবে আমার মনে হয় বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম। শট খেলার ক্ষেত্রে আমরা ভালো ছিলাম না, নিউজিল্যান্ডকে কয়েকটি উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। এরপরও ২৮০ করেছি, যেটি আমরা কোন পর্যায়ে খেলতে পারি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে।’ বলেন বাটলার।
২৮৩ রান তাড়া করতে নেমে কনওয়ে (১৫২*) এবং রবীন্দ্রর (১২৩*) জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের সেরাটা দেয়া থেকে পিছিয়ে রাখলেও কনওয়ে এবং রাচিনের প্রশংসা করেছেন বাটলার। ইংলিশ অধিনায়কের ধারণা, ৩২০ কিংবা ৩৩০ রান করতে পারলে মার্ক উড, স্যাম কারানরা চাপ তৈরি করতে পারতেন।
মিরাজ