২০২১ নারী ফুটবল লিগে অংশ নেয়া এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দলটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত ছবিতে বসা বা থেকে তৃতীয় ।
মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। বিশেষ করে মতিঝিলপাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। বয়স ৩৮। আগে একাধিক ফুটবল একাডেমি ও ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফুটবল ক্লাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
২০১৫ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর তিন বছর (২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে) ওই আসরে অংশ নিয়ে শেষের বছরে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে ক্লাবটির। ওই বছর দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিতে যাচ্ছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
শুধু তাই নয়, এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দলেরও প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত। নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে। ২০২৩ সালের লিগের তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
দৈনিক জনকণ্ঠকে শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি একাই দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি।
শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
আমাদের দলটির বিষয়ে যদি আপনার নিউজের মাধ্যমে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো। শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাক্ষণবাড়িয়া। দলটি কি এবারের নারী ফুটবল লিগে খেলবে? শাহাদাতের ভাষ্য,নারী ফুটবল দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়। পর্যাপ্ত আর্থিক সঙ্গতির ব্যবস্থা করতে পারলে খেলার ইচ্ছে আছে।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের নিগুঢ় প্রত্যাশা।
রুমেল খান