আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশের যুবাদের শিরোপা-উল্লাস
ক্রিকেটে কতটা গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, সেটি আরও একবার দেখা গেল অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে। মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর টানা তিন জয়ে চ্যাম্পিয়ন টাইগার যুবারা! আবুধাবির একতরফা ফাইনালে ৬ উইকেটের বিশাল জয়ের পথে আফগানদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে আহরার আমিনের দল। টলেরেন্স ওভাল মাঠে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৩৭ ওভারে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ২৩.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ (১৪৪/৪)। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহফুজুর রহমান রব্বি। নারায়নগঞ্জ থেকে উঠে আসা ১৭ বছর বয়সী বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ২৯, মেডেন ১টি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৫ ওভারে আফগানিস্তান তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ২৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে হিজবুল্লাহ দোরানিকে (১৩) বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা। দলের স্কোর৫০ পেরোনের পর দ্রুত ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে (২৭) বোল্ড করে শিকার শুরু মাহফুজের। নিজের পরের দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন সোহেল খান (২) ও কাময়ান হোতাককে (১)। অষ্টাদশ ওভারে ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগনরা। সেখান থেকে ইনিংস সেরা ৫৪ রানের জুটিতে দলের স্কোর একশ পার করেন মোহাম্মদ হারুন ও খালিদ তানিওয়াল। এরপরই মাহফুজ পরপর দুই বলে খালিদ ও ফরহাদ ওসমানিকে বোল্ড করে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন। পরে তিনি এলবিডব্লিউ করেন ইয়ামা আরবকে। আর একই ওভারে হারুন ও বশির আহমেদকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন রাফি। আফগানদের ইনিংসে ৬২ বলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসের হারুনের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে যুব ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে নেন মাহফুজ। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা। বাংলাদেশের রান তাড়ায় ১৩ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে বিদায় নেন আশিকুর রহমান। তিনে নেমে জিশান আলম ১৯ বলে ৭ চারে করেন ৩৫ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলাম। আরিফুল ৩৩ বলে করেন ২২। ওপেনার রিজওয়ান ৪৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৩। বাকিটা সারেন আহরার আমিন ও মোহাম্মদ শিহাব। বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছিল ৭ ও ৫ উইকেটে।