ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ৭ জানুয়ারি ২০২৩

নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের মরদেহ উদ্ধার

ফারাজানা হক মিলি

ফ্ল্যাট থেকে সাবেক নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ফারাজানা হক মিলির (২৫) মরদেহ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী নুর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট নগরের তেলিহাওর সিলভ্যালী টাওয়ারের তৃতীয় তলায় থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে করা হয়।  

নিহত ফারজানা হক মিলি জেলা পর্যায়ের সাবেক নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা, শনিবার ভোররাতের দিকে মিলির মৃত্যু হয়েছে। সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মরদেহের হাঁটু বিছানায় লাগানো ছিল।   

তিনি বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার মরদেহ ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে মিলির সঙ্গে ঝগড়া করেন স্বামী। ঝগড়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসার একটি কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন মিলি। এ দুইদিন তিনি না খেয়ে থাকলেও স্বামীসহ বাসার লোকজন তার কোনো খোঁজ খবর নেয়নি।  

পরিবারের লোকজন বলেন, মিলির স্বামী নুর আলম তার স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৬ লাখ টাকা তুলে অনলাইনে জুয়া খেলেছেন। সেই সঙ্গে মিলির ব্যবহৃত স্বর্ণ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে জুয়া খেলেছেন। এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের থেকে মিলিকে মারধর করা হয়। 

ফারাজানা স্বামী নুর আলম বলেন, আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। সে খুব রাগি ছিল। কখনও রাগ করে ২/৩ দিন ঘুমের ট্যাবলেট থেকে ঘুমিয়ে থাকতো। বৃহস্পতিবার রাতেও ঠিক একইভাবে রাগ করে দরজা বন্ধ করে থাকে মিলি।  

তিনি বলেন, জুয়া নয় পেশা হিসেবে অনলাইনে ডলার কেনা-বেচা করতাম। স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। বাড়ির জমি বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছি। মিলির ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উঠাইনি।  

এর আগে ২ বছর পূর্বে জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মরহুম সিরাজুল হকের মেয়ে ফারজানা মিলির সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলিয়ার কাপন গ্রামের আসকর আলীর ছেলে নুর আলমের বিয়ে হয়।

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×