
মেসি
আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচেছে। স্বপ্নের ট্রফি এখন লিওনেল মেসির হাতে। আক্ষেপ ঘুচেছে কিংবদন্তি মেসির।
৩৫ বছর বয়সী গ্রহের এই সেরা ফুটবল নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন নিজের আবেগ। জানিয়েছেন, দিনের পর দিন হতাশ হয়েও কিভাবে স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন। টেনে এনেছেন উত্তরসূরী ডিয়েগো ম্যারাডোনার প্রসঙ্গও।
পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। তারপরের তিন দশক কেমন কেটেছে, সেই স্মৃতি আওড়ে মেসি লিখেছেন, ‘গ্রান্দোলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। প্রায় তিন দশকের এই সময়ে ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে, কিছু দুঃখও দিয়েছে। সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমি কখনো চেষ্টা করা থামাইনি, এমনকি এটাও জানতাম যে এটা কখনো নাও পেতে পারি।’
কাতারের আগে ১৯৮৬ সালে কিংবদন্তি ম্যারাডোনার নৈপুণ্যে সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৯০ এবং ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠে স্বপ্ন ভাঙে। এবারের ট্রফিটা সেই স্বপ্নভাঙা মানুষদেরও, মনে করেন মেসি।
তার ভাষায়, ‘এই যে বিশ্বকাপটা আমরা জিতেছি, এটা তাদের জন্যও, যারা আগের বিশ্বকাপগুলোতে চেষ্টা করেও এটা জেতেনি। যেমন ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলে সবারই এটা প্রাপ্য ছিল, কারণ সবাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে এবং কঠিন পরিশ্রম করেছে। তারাও এটা সেভাবে পেতে চেয়েছে, যেভাবে আমি চেয়েছি। সেটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। যদিও শেষটা ভালো হয়নি।’
মেসি যোগ করেন, ‘(ট্রফিটা) ডিয়েগোর (মারাদোনার) জন্যও, যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এই সাফল্য তাদের সকলের জন্য, যারা সবসময় ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে জাতীয় দলের পাশে থেকেছে, আমাদের চেষ্টা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, এমনকি যখন সবকিছু চাওয়া অনুযায়ী হয়নি তখনও…আর অবশ্যই কোচিং স্টাফ এবং জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য, যারা আমাদের জন্য সবকিছু সহজ করতে দিনরাত কাজ করেছেন।’
‘সবসময় স্বপ্ন ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ব্যর্থতা অনেক সময় যাত্রা এবং শেখার অংশ। হতাশা, ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। হৃদয় থেকে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! চলো আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাই’-বলে শেষ করেছেন মেসি।
টিএস