ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

মেসির মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে এমবাপ্পে! যা বলে ইতিহাস 

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

মেসির মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে এমবাপ্পে! যা বলে ইতিহাস 

লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ আর দুই ঘণ্টা পর মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। লিওনেল মেসি বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পের বহু প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ দেখতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব।

দু’জনেই ফুটবল জগতের তারকা। মেসিকে সর্বকালের সেরা বলে মনে করেন কেউ কেউ। আবার মাত্র ২৩ বছর বয়সে পায়ের জাদুতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পেও। পেলের সঙ্গে তুলনা চলছে। অনেকের মতে, মেসি-রোনাল্ডো যুগের পর, ফুটবল বিশ্বের শাসন এবার তার হাতেই যাচ্ছে।

বিশ্বকাপ ফাইনালে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বল গড়ানোর আগে এক ঝলকে ফিরে দেখা যাক দুই দলের দুই ১০ নম্বর জার্সির অতীত পরিসংখ্যান। অতীতে দেশের জার্সিতে কিংবা ক্লাবের হয়ে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন মেসি ও এমবাপ্পে। তিনবার তাদের দ্বৈরথ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। সেই পরিসংখ্যান কিন্তু ফাইনালের আগে এগিয়ে রাখছে ফরাসি তারকাকেই। 

বার্সেলোনা ক্লাবে খেলার সময় এমবাপ্পের বিপক্ষে দুইবার খেলেছেন এলএম১০। ২০২০-২১ ইউএফএ চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দুইবার মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা-পিএসজি। প্রথম ম্যাচটিতে প্রথম গোলটি করেছিলেন মেসি। কিন্তু মাঠে তারপর শুরু হয় এমবাপ্পের দাপট। করেন হ্যাটট্রিক। খেলার ফলাফল দাঁড়ায় পিএসজির পক্ষে ৪-১।

দ্বিতীয় ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। বার্সেলোনা এবং পিএসজির হয়ে একটি করে গোল করেছিলেন যথাক্রমে মেসি এবং এমবাপে। দু’টি ম্যাচ মিলিয়ে ফলাফল দাঁড়ায় বার্সেলোনা ২, পিএসজি ৫।
এরপর ক্লাব ফুটবলে মেসি, এমবাপেকে মুখোমুখি দেখা যায়নি। কারণ তারা একই ক্লাবে খেলতে শুরু করেন। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে এমবাপ্পের ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন মেসি।

পরেও অবশ্য একবার একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন মেসি এবং এমবাপ্পে। শেষবার তাদের মুখোমুখি দেখা গিয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে। রাশিয়ায় শেষ আটের লড়াইয়ে খেলেছিল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। সে ম্যাচেও এমবাপ্পে শেষ হাসি হাসেন। খেলার ফলাফল দাঁড়ায় ফ্রান্সের পক্ষে ৪-৩। মেসিকে একটিও গোল করতে দেখা যায়নি রাশিয়া বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে।

দুই তারকার দ্বৈরথে এমবাপ্পের মোট গোলসংখ্যা ৬ (পিএসজি-র জার্সিতে ৪ এবং ফ্রান্সের জার্সিতে ২)। অন্যদিকে এমবাপ্পের বিপরীতে খেলতে নেমে মেসি এখনও পর্যন্ত করেছেন ২টি গোল (বার্সেলোনার জার্সিতে ২, আর্জেন্টিনার জার্সিতে ০)।

তবে ইতিহাস যাই বলুক, কাতার বিশ্বকাপের অঙ্ক অন্য। এখনও পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে গোলের দৌঁড়ে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন মেসি এবং এমবাপ্পে। সোনার বুটের দৌঁড়ে এগিয়ে মেসি।
চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন মেসি। ইতোমধ্যে তার ৫টি গোল করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ৩টি অ্যাসিস্ট। অর্থাৎ, তার দেওয়া পাস থেকে ৩টি গোল হয়েছে।

এদিকে এমবাপ্পের গোলসংখ্যাও ৫। তবে গোলের ঠিকানা লেখা পাস দেওয়ায় খানিক পিছিয়ে ফ্রান্সের এই স্ট্রাইকার। এমবাপ্পের পাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২টি গোল হয়েছে।

ফাইনালে দেশের হয়ে লড়াইয়ের পাশাপাশি দুই তারকার সোনার বুটের লড়াইও দেখা যাবে। যার গোল বেশি হবে, তিনি পাবেন বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা এই সম্মান। মেসি সেমিফাইনালের পরই জানিয়ে দিয়েছেন, রবিবারের ফাইনালই হবে দেশের হয়ে তার শেষ বিশ্বকাপ। শেষবারের মতো কি ঝলসে উঠবেন তিনি? না কি তার মুখের গ্রাস কেড়ে নেবেন তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট ক্লাবসতীর্থ?

 

এসএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×