.
মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় গোটা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা। রবিবার কাতার বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বিশ্বকাপের মহারণে রেফারি হিসেবে থাকছেন কে? তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের বাড়তি আগ্রহ ছিল এবার। অবশেষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সায়মন মার্চিনিয়াককে রেফারি হিসেবে চূড়ান্ত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ তাকে বেশ শক্ত হাতে পরিচালনা করতে হবে, যেন কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয়। কেননা, এবারের বিশ্বকাপে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন কয়েকজন রেফারি। যার মধ্যে রয়েছে এক ম্যাচে ১৯ কার্ড দেখার ঘটনাও। আর্জেন্টিনা-হল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচ নিয়ে অবশ্য কম জল ঘোলা হয়নি। যে কারণেই ফাইনাল ম্যাচে রিফারি নির্বাচনে অনেক বড় নামও সামনে এসেছিল। কিন্তু সবাইকে টপকে ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেলেন পোল্যান্ডের রেফারি মার্চিনিয়াক। বিশ্বকাপের এবারের আসরে ম্যাচ পরিচালনায় উচ্চমানের কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
পোল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল রেফারি হিসেবে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ম্যাচ পরিচালনা করে আসছেন সায়মন মার্চিনিয়াক। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ফ্রান্স-ডেনমার্ক এবং শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে এই পোলিশ রেফারির। ২০১৮ সালের উয়েফা সুপারকাপ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচেও প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৪১ বছর বয়সী মার্চিনিয়াক। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার একটি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিলেন লিওনেল মেসিরা। সেই ম্যাচে ক্রিস্টিয়ান পাভনকে বক্সে ফাউল করা সত্ত্বেও একটি ন্যায্য পেনাল্টি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সায়মনের বিরুদ্ধে। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও একটি পেনাল্টির আবেদন করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু ত নাকচ করে দেন পোল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ রেফারি।
কাতার বিশ্বকাপে ভিএআরসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি যোগ করা হয়। যে কারণে রেফারিদের জন্য ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেকে সফল হলেও কেউ কেউ আবার বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধেই এবার অভিযোগ তুলেছেন খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে হল্যান্ড বনাম আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া বনাম-আর্জেন্টিনা এমনকি সর্বশেষ ফ্রান্স এবং মরক্কোর ম্যাচেও রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলা হয়। লিওনেল মেসি এবং লুকা মদ্রিচের পর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে ক্ষুব্ধ হয়েছে মরক্কোও। তাদের অভিযোগ, ম্যাচে দুটি সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে যায়। এমনটা না হলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত। মরক্কোর অভিযোগ সেমিফাইনালের রেফারি সিজার র্যামোসের বিরুদ্ধে।