স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটারদের দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন তিনি
সাদা টি-শার্ট। তার উপর ছোট করে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা। সিডনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের খেলা চলাকালীন সকলের নজর কেড়েছিলেন এই তরুণী। স্টেডিয়ামের দিকে ক্যামেরা ঘুরতেই তাকে দেখা গেল।
তিনি যে পাকিস্তানি সমর্থক, তা তার টি-শার্টে আঁকা পতাকা দেখেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু সে দিন থেকেই ওই তরুণী হয়ে উঠেছেন ‘মিস্ট্রি গার্ল’! সুন্দরী ওই তরুণীর ছবি ভাইরাল হতেই তারই খোঁজে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচেই ক্যামেরায় বার বার ধরা পড়েছিলেন ওই তরুণী। সেমিফাইনালে কিউয়িদের হারাতেই স্টেডিয়াম থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের দিকে চুম্বন ছুড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
গত কয়েক দিন ধরে খোঁজ চালিয়ে তরুণীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তার নাম নাতাশা। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, নাতাশা পাক বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। থাকেন মেলবোর্নে। এখানেই তার জন্ম। শৈশবও কেটেছে এই মেলবোর্নেই।
ভাইরাল এই তরুণী তার ইনস্টাগ্রাম বায়োতে নিজেকে ‘অস্ট্রেলিয়ান পঞ্জাবান’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। নাতাশা তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে দাবি করেছেন, ভ্রমণ করাই তার শখ। বস্টওয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বহু ছবি নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন নাতাশা।
সিডনিতে ভাইরাল হওয়ার পর তার নামে একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে বলে দাবি নাতাশার। বিষয়টি নিয়ে তার অনুগামীদের সতর্কও করেছেন এই ভাইরাল তরুণী।
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর নাতাশা টুইট করেন, ‘ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানকে দেখতে চাই।’ কিন্তু বৃহস্পতিবারই সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত।
সিডনিতে ভাইরাল হওয়ার পর সে দিন ম্যাচ শেষে স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাতাশাকে প্রশ্ন করেছিল, তার প্রিয় বোলার কে? তখন তিনি জানিয়েছিলেন, নাসিম শাহ তার প্রিয় বোলার।
ভাইরাল হওয়ার আগে পর্যন্ত নাতাশার ইনস্টাগ্রাম অনুরাগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫০০। কিন্তু ভাইরাল হতেই সেই সংখ্যা এক লাফে ৩৫ হাজারে পৌঁছেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল পর্যন্ত যা যা ঘটল, তা ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পুনঃপ্রচার বললে ভুল হবে না। ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। সেই প্রথম বার।
এমএইচ