সুমন রেজা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে কম্বোডিয়ায় ১টি এবং ২৭ সেপ্টেম্বর নেপাল জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে নেপালে ১টি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন সোমবার বিকেলে ঢাকার উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং স্ট্রাইকার সুমন রেজা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজা। একই সময় তার ডাক পড়েছিল জাতীয় দলের ক্যাম্পেও। কিন্তু একসঙ্গে দুই জায়গায় দায়িত্ব পালন করাটা তার জন্য অনেক সমস্যায় পরিণত হয়েছিল। তাই আগামী দিনের কথা ভেবে বিমান বাহিনীর লোভনীয় চাকরি ছেড়েই দিলেন। বেছে নিলেন জাতীয় দলকেই।
সোমবার অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুমন রেজা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক খারাপ ও অসহায় বোধ করছিলাম। কেননা সবাই ন্যাশনাল টিমের ক্যাম্প করছে, অথচ আমি করতে পারছি না। বিষয়টা আমার জন্য ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এটা বলে বোঝানো যাবে না। একটা শঙ্কার মধ্যেও ছিলাম ক্যাম্পে যোগ দিতে না পারলে যদি বাদ পড়ে যাই!
এজন্য মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছি-চাকরি বড়, নাকি জাতীয় দল বড়? এই সিদ্ধান্তটা নেয়া সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। বলতে পারেন এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ও দুর্ধর্ষ সিদ্ধান্ত। যেখানে সহজে কেউ সরকারী চাকরি ছাড়তে চায় না, সেখানে আমি ছেড়ে দিলাম। দুটি একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে অনেক কষ্টকর ছিল। এজন্যই সিদ্ধান্ত নেয়াটা অনেক কঠিন ছিল।’ সুমন আরও বলেন, ‘তবে বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিলেও আমার ফুটবলার হবার পেছনে এই সংস্থার অবদান অস্বীকার করা যাবে না।
আমি তাদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও শুনেছি সেটা এখনও একসেপ্ট করা হয়নি। দেখা যাক পরে কি হয়।’ সরকারী চাকরি তো ছেড়ে দিলেন, বিয়ের সময় পাত্রী পেতে যদি সমস্যা হয়? এমন মজার প্রশ্নে সুমনের উত্তর, ‘সরকারী চাকরির চেয়ে জাতীয় দল অনেক বড়। আশা করি বিয়ের পাত্রী পেতে সমস্যা হবে না। কেননা আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারব।’
বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘অনুশীলন ক্যাম্পের আবহাওয়ার আগের মতোই, তবে এবার একটু ডিফিকাল্ট। কেননা সবাই লীগ শেষ করে যে যার মতো নিজেদের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। সবাই ফ্যামিলির সাথে ছুটি কাটিয়েছে। অবকাশকালীন কেউই ব্যক্তিগতভাবে ট্রেনিং করেনি, এজন্য এখন ট্রেনিং করতে বেশি কষ্ট হচ্ছে।’ অনুশীলনের ধরন প্রসঙ্গে বিশ্বনাথের ভাষ্য, ‘কোচ বলেছেন এই সপ্তাহের পুুরোটাই আমাদের পাওয়ার ফিটনেস ট্রেনিং চলবে।
এরপর সপ্তাহান্তে হবে ম্যাচ প্র্যাকটিস।’ বিশ্বনাথ আরও যোগ করেন, ‘একজন প্রফেশনাল প্লেয়ার হিসেবে সবকিছুতেই ফোকাস রাখতে হবে। হানড্রেড প্লাস মিনিট ট্রেনিংয়ের ওপরেই কোচ বেশি জোর দিচ্ছেন। এটা ঠিকমতো করতে পারলে হয়তো ১২০ মিনিট ধরে খেলা আমাদের জন্য কঠিন কিছু হবে না।’