স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের জুনিয়র ফুটবলার বাছাই কার্যক্রম। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবাবের বাছাইয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে ৩৩ জন তৃণমূলের খেলোয়াড়। গত পরশু কমলাপুর স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং শেষ ধাপের বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ৮৭ খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৩ জনকে নির্বাচিত করেন ক্লাব কর্মকর্তারা। প্রায় সাড়ে চারশ’ ফুটবলার দেশের ভিন্ন এলাকা থেকে এসে এই ট্রায়ালে অংশ নেয়। প্রথম দিনে নির্বাচিত হয় ৩৭ দ্বিতীয় ট্রায়ালে ৫০ জন, এই দুই ধাপে ৮৭ খেলোয়াড় বেছে নেয়া হয়। সেখান থেকে ফাইনাল রাউন্ডে সুযোগ পেয়েছে ৩৩ ফুটবলার। সাইফের নিজস্ব একাডেমিতে আছে আরও ১৭ জন। সব মিলে জুনিয়র দলের খেলোয়াড় সংখ্যা দাঁড়াল এখন ৫০ জনে। সামনে দ্বিতীয় বিভাগ লীগ শুরু হবে।
সেখানে অংশ নেবে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব জুনিয়র দল। মূলত, সেই দল গঠন করতেই এই আয়োজন। খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে ট্রায়ালে অংশ নিতে চলে আসে ভবিষ্যতের জামাল, তপুরা। যারা সুযোগ পেয়েছে হাসি মুখে, আনন্দে চিত্তে ফিরেছে আপন নীড়ে। এই আয়োজনে ব্যাপক খুশি তৃণমূলের ফুটবলাররা। খুশি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ মারুফ হাসান। ট্রায়াল শেষে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারুফ হাসান বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে সব প্রতিভাবান ফুটবলার লুকিয়ে আছে তাদের খুঁজে বের করতে। যদিও অল্প সময়ে সবাইকে খুঁজে বের করা সম্ভব না। তারপরও আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। এই ৩৭ খেলোয়াড়কে আমরা ক্যাম্পে রেখে ট্রেনিং দেব। এখান থেকে যারা ভাল করবে, তাদের আগামী মৌসুমে আমার সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ করে দেব।
এদের মধ্য থেকে দ্বিতীয় বিভাগের দল গঠিত হবে। কিছু জুনিয়র খেলোয়াড় থাকবে, যাদের আমরা ক্যাম্পে রেখে দেব ভবিষ্যতের পাইপলাইনের জন্য। ট্রেনিং কার্যক্রম শেষে কোচ সাইফুর রহমান মণি বলেন, সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোঃ রুহুল আমিন শুরু থেকে ফুটবলের পেছনে যে শ্রম দিচ্ছেন, টাকা-পয়সা ইনভেস্ট করছেন, ফুটবলে তা বিরল। সাইফের স্থায়ী একটা একাডেমি আছে, যা অন্য ক্লাবের নেই। এদিক থেকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। একাডেমিতে থাকা খেলোয়াড়রা দ্বিতীয় বিভাগে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন হলে প্রথম বিভাগে যাবে। একজন খেলোয়াড় প্রথম বিভাগে উঠে এলে তারা প্রিমিয়ার লীগে জাম্প করতেই পারে। দেশের সবগুলো ক্লাব যদি সাইফের মতো পদক্ষেপ নিত, তাহলে দেশের ফুটবলের চিত্রটাই এতদিনে বদলে যেত।’