অনলাইন ডেস্ক ॥ ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়েছিল নেইমার-এমবাপেদের দল প্যারি সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের একাধিপত্য আর নেইমার-এমবাপেদের একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত হেরেই যেতে হলো পিএসজিকে। ইতিহাস গড়া হলো না তাদের।
পিএসজির ইতিহাস গড়ার স্বাক্ষী হতে লাখ লাখ মানুষ অধীর অপেক্ষায় ছিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। কিন্তু বায়ার্নের কাছে ১ গোলে এই হার তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি।
যার ফলে রোববার রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসজুড়ে চললো বিক্ষোভ। সারারাত ধরে চললো তান্ডব। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। আগুল জ্বালানো হল জায়গায় জায়গায়। পোড়ানো হল গাড়ি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৮০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জিততে পারলো না প্যারিসের ফুটবল দল পিএসজি। কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলেই ষষ্ঠবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী হলো বায়ার্ন।
প্যারিসের ফুটবল স্টেডিয়াম প্রিন্সেস পার্কে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৫ হাজার পিএসজি সমর্থক। মনে ছিল অনেক বড় আশা। কিন্তু ১-০ গোলে হেরে যায় পিএসজি। যা কোনোভাবেই মানতে পারেনি স্টেডিয়ামে উপস্থিত সমর্থকরা।
সেই মানতে না পারা থেকেই স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে রাস্তাঘাটে তাণ্ডব চালালো পিএসজি সমর্থকরা। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গাড়ির দিকে ক্রমাগত পাথর ছুঁড়তে থাকেন তারা। দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানো, বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে মধ্যরাতেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ৮৩ জন।
তবে অন্য পিএসজি সমর্থকরা, যারা হতাশ হয়ে আগেই স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তারা জানালেন, ‘আমরা প্রচণ্ড হতাশ হয়েছি। কিন্তু তাই বলে ধ্বংসাত্মক হয়ে যাইনি। সুতরাং, এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করা যায় না।’