স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে গোটা ক্রীড়াজগৎ। তবে থামাতে পারেনি ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে তারা তৈরি করছেন সচেতনতা। এ দৌড়ে শামিল হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররাও।
গত ২৬ মার্চ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। কোয়ারেন্টাইনে থাকার এ সময় কীভাবে ফিটনেস ধরে রাখা যায়, এ বার্তাই ছিল ভিডিওটিতে। এছাড়াও করোনা সচেতনতা তৈরির জন্য আরও একটি ভিডিও তিনি দেন গত সপ্তাহে। কথা হচ্ছে জামাল তো ভিডিও দিলেন, কিন্তু তা পৌঁছালো কত জনের কাছে?
জামালের পোস্ট করা প্রথম ভিডিওর সপ্তাহান্তে ভিউ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ। ফুটবলের এ তারকা মাঠের মতো তুমুল জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমেও। যেখানে ফেসবুকে তাকে অনুসরণ করছেন তিন লাখ ভক্ত। ভেরিফায়েড করা ইনস্টাগ্রামেও জামালের ভক্তের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তার অগুণিত অনুসারী রয়েছে টুইটারেও।
ফলোয়ার্সের দিক থেকে জামালের পর জনপ্রিয় অবস্থানে সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। ফেসবুক পেজে তাকে অনুসরণ করেন প্রায় ৭০ হাজার ভক্ত। এছাড়া ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার এ্যাকাউন্টেও ফলোয়ার্স আছে মামুনের। তবে দেশের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডারের তিনটি এ্যাকাউন্টের একটিও ভেরিফায়েড করেনি কর্তৃপক্ষ!
সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উইঙ্গার সোহেল রানা। ফেসবুকে তাকে অনুরণ করেন প্রায় ৬০ হাজার ফ্যান। একইসঙ্গে তার এ্যাকাউন্টটিও ভেরিফায়েড করেছে কর্তৃপক্ষ। আবাহনীতে খেলা সোহেলের প্রচুর ভক্ত রয়েছে ইনস্টাগ্রামেও। তবে ফলোয়ার্স দেখে বোঝা যায় সেখানে খুব একটা জনপ্রিয় নন তিনি!
ফেসবুক পেজে মাত্র ৩৮ হাজার ফলোয়ার্স থাকলেও বিপলু আহমেদের এ্যাকাউন্টটি অবশ্য ভেরিফায়েড। পোস্টের মাধ্যমে এখানে নিয়মিত সক্রিয় থাকেন এই ফরোয়ার্ড। আর তাই সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত বাড়ছে তার ফ্যান ও ফলোয়ার্সের সংখ্যা। ফুটবলের তরুণ তুর্কির রয়েছে ইনস্টাগ্রাম এ্যাকাউন্টও।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে গোল করার পর এখন সবাই চেনে সাদ উদ্দিনকে। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান তার পর থেকেই। এখানে তাকে ফলো করছেন প্রায় ৩৭ হাজার ভক্ত। যদিও কর্তৃপক্ষ এখনও ভেরিফায়েড করেনি তার এ্যাকাউন্টটি।
জামালের মতো করোনা-সচেতনতা নিয়ে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয়ই আছেন মামুনুল, সোহেল, বিপলু এবং সাদ। এছাড়াও কয়েক ফুটবলার নিজ উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাবার ও জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী বিতরণ করে কুড়িয়েছেন প্রশংসা।