অনলাইন ডেস্ক ॥ ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সমাধান হওয়ার পরও অনিশ্চয়তা মেঘ রয়ে গেছে দেশের ক্রিকেটের আকাশে। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানান গুঞ্জন। সাকিব আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বেশকিছু গণমাধ্যম।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করার অভিযেগে সাকিব আইসিসির তদন্তের যে খবর আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তাতে ভারত সফরে তার না যাওয়া এখন অনেকটাই নিশ্চিত। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অবশ্য বলেছেন, সাকিবের ভাগ্যে যাই ঘটুক, বিসিবি তার পাশে থাকবে।
ভারত সফরের জন্য সাকিবকে অধিনায়ক রেখেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হয়েছে কয়েক দিন আগে। তবে দলের অনুশীলনে সাকিবের অনুপস্থিতি দেখে ডালপালা মেলছিল নানা গুঞ্জন।
ক্রিকেটারদের ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি। কিন্তু অনুশীলনের প্রথম দিনই ছিলেন না অধিনায়ক। তার না থাকা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাচ্ছিলও না বিসিবি। পরে জানা যায়, অসুস্থতার জন্য কোচের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। পরদিন তিনি অনুশীলনে যোগ দেন।
রবি ও সোমবার ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও সাকিব একটিও খেলেননি। তাতে নতুন করে মাথাচাড়া দেয় অনেক প্রশ্ন। বিসিবি এবারও স্পষ্ট করছিল না কোনো কিছু। পরে সোমবার রাতে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানান, ভারত সফরের জন্য পরিবর্তিত টি-টোয়েন্টি দল জানানো হবে মঙ্গলবার। তাতে গুঞ্জনগুলো শক্ত ভিত পায় আরও।
মঙ্গলবার দেশের একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি বা বিসিবিকে জানাননি সাকিব।
এটি সত্যি হলে, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের জন্য শাস্তি পেতে হতে পারে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারকে। অবশ্য আইসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির দুর্নীতি বিরোধী ধারা অনুযায়ী, কারও কাছ থেকে অনৈতিক কিছুর প্রস্তাব পেলে যত দ্রুত সম্ভব আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হয়। প্রতিটি সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের ক্লাস নিয়ে এ নিয়ম মনে করিয়ে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, এই ধারা ভঙ্গের শাস্তি হতে পারে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।