স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মারী-আশরাফ-কবির এই ত্রয়ী জুটির শেষ কিংবদন্তি ফুটবলার তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের বাঙালী সহ-অধিনায়ক, বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অনুপ্রেরণাদাতা কবির আহমেদ (৮৩) বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজেউন)। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কিংবদন্তি গত বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবারসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেক সংগঠন। মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে সংগঠনগুলো।
১৯৩৫ সালে জন্ম কবিরের। ১৮ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে বেঙ্গল গবর্নমেন্ট প্রেস (বিজি প্রেস) দলের হয়ে ঢাকার ফুটবলে অভিষেক। সে বছরই দলকে চ্যাম্পিয়ন করান এই ফরোয়ার্ড। খেলতেন রাইট ইনসাইড ফরোয়ার্ড হিসেবে। এরপর যোগ দেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ১৯৫৫ সালে। সে বছরই তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। খেলেন টানা ১৯৬০ পর্যন্ত, এর মধ্যে তিন বছরই ছিলেন দলের সহ-অধিনায়ক। সে সময় সমগ্র পাকিস্তানের আলোচিত ফুটবলার ছিলেন কবির।
কবির খেলেছেন ১৯৫৮ টোকিও এশিয়ান গেমস এবং ১৯৫৯ সালে এশিয়ান কাপ ফুটবল। ১৯৫৬ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দেয়ার পরই কবির আহমেদের ফুটবল ছড়ায় মধ্যগগনের সূর্যতাপ। টানা ৯ বছর মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন। ওখানেই সতীর্থ মারী ও আশরাফের সঙ্গে বিখ্যাত ‘ত্রয়ী’ গড়ে তোলেন। খেলে গেছেন ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। শেষ বছরে খেলেন ভিক্টোরিয়াতে।
মুম্বাই দাবায় বাবার জয়, ছেলের ড্র
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠানরত আইআইএফএল ওয়েলথ মুম্বাই আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা শেষে বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ৬ খেলায় সাড়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় ৭ জনের সঙ্গে মিলিতভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ফিদেমাস্টার ফাহাদ রহমান ৪, ফিদেমাস্টার মেহেদী হাসান পরাগ, ক্যান্ডিডেট মাস্টার সুব্রত বিশ্বাস ও মোঃ আবজিদ রহমান আড়াই, নাইম হক ২, ক্যান্ডিডেট মাস্টার সোহেল চৌধুরী দেড়, সাজ্জাদ কিশোর ও আলী আহসান জুয়েল এক পয়েন্ট করে পেয়েছেন। ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় জিয়া ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক মাস্টার টরান মিন থাংকে ও ফাহাদ ভারতের শুভায়ন কুণ্ডুকে হারান।