
শিরোপা জিতে ২০১৯ ব্যাচ ফুটবল টিমের উদযাপন
কথায় আছে, “দান দান তিন দান।” যে দলটি টানা দু’বার শিরোপাজয়ের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে যে একরাশ বেদনায় আচ্ছন্ন ছিল, তৃতীয়বারের চেষ্টায় তাদের সেই বেদনা রূপান্তরিত হলো অনাবিল চিত্তসুখে। “ঈদ রি-ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এ চ্যাম্পিয়ন ২০১৯ এসএসসি ব্যাচের কথা বলা হচ্ছে। এই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সমর্থক তামজিদ হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমনটাই লিখেছে, “আমার ব্যাচ আমার গর্ব ২কে১৯!
২০২৩ সালে ফাইনালে টাইব্রেকারে হারলো। ২০২৪ সালে ফাইনালে টাইব্রেকারে হারলো। ২০২৫ সালে অবশেষে আমার ব্যাচ চ্যাম্পিয়ন!!!”
নরসিংদীর ঘোড়াশালের পলাশে অবস্থিত ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী “বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়” (স্কুলটি পিডিবি হাই স্কুল নামেও পরিচিত)। এখানে অবস্থিত ওয়াপদা কলোনি। ওয়াপদার একটি ঐতিহ্য হলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরদিন 'এইট এ- সাইড ফুটবল টুর্নামেন্ট' অনুষ্ঠিত হয়। যার আনুষ্ঠানিক নাম “ঈদ রি-ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট”। গত ২৬ বছর ধরে এমনটা হয়ে আসছে। এই আসরে খেলার নিয়ম হচ্ছে- বিউবো উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা প্রাক্তন ছাত্ররা ব্যাচভিত্তিক দল হিসেবে খেলতে পারবে।
এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০১৯ ব্যাচ। ১লা এপ্রিল অনুষ্ঠিত জমজমাট এই ফাইনালে ১-০ গোলে হারায় ২০১৮ ব্যাচকে। জয়সূচক গোলটি করেন সাকিবুল ইসলাম বিজয়। ম্যান অব দ্য ফাইনালও হন তিনি। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন রানার্সআপ দলের নাঈম দেওয়ান (৪ গোল)। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হন চ্যাম্পিয়ন দলের মামুন। আসরের সেরা গোলরক্ষক হন চ্যাম্পিয়ন দলের শেখ আহনাফ মাহি।
সফল এই টুর্নামেন্টের আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে ২০১৮ ব্যাচ। ১৯৮১-২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ব্যাচকে এই আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মোট ২২টি এসএসসি ব্যাচ দল এই আসরে অংশ নেয়।
একদিন ব্যাপী আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল খেলা হয় রাতে। এজন্য মাঠের চারপাশে বিশেষভাবে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। খেলা দেখতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়। চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা হয় ২০১৯ ব্যাচ। আগের দু’বার যে দলটি ফাইনালে হেরেছিল, তাদের তো উচ্ছ্বাসের মাত্রাটা বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
রুমেল/আবীর