
এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের একটি দৃশ্য
ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাইলেন। তারপর স্মিত হেসে হাততালি দিলেন। ম্যাচ শুরুর আগে মোনাজাত করলেন। অধিনায়ক নন তিনি। কিন্তু মাঠে স্বভাবে-খেলায় তিনিই যেন ছিলেন অধিনায়ক। সতীর্থদের দিক-নির্দেশনা দিয়ে খেলাচ্ছিলেন। যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি হামজা চৌধুরী, যার মঙ্গলবার অভিষেক হলো আন্তর্জাতিক ফুটবলে, প্রিয় বাংলাদেশের জার্সিতে। মঞ্চ ছিল এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। ভেন্যু মেঘালয়ের শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। তাদের ‘প্রেসিং ফুটবল’ যথেষ্ট চাপে ফেলে দেয় ভারতকে। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে শুরু করে জাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। কিন্তু ১১ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে তারা। এ যেন গোল মিসের মহড়া!
১ মিনিটের মাথায় ভুল করে বল বাংলাদেশের মিডফিল্ডার জনির কাছে দিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের গোলকিপার ভিশাল কাইথ। পোস্ট খালি পেয়েও নেটের পাশে শট মারেন জনি। ৯ মিনিটে ডান প্রান্ত মোরসালিনের ক্রস পান বক্সে দাঁড়ানো শাহরিয়ার ইমন। তার হেড ভারতের পোস্টের পাশ ঘেঁষে মিস হয়। কর্নারের পরই ভারতের গোলকিপার ভিশাল কিক নিতে যাওয়ার সময় বল তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে চলে যায়। ফাঁকা পোস্ট সামনে রেখে বল পেয়ে যান হৃদয়। সামনে ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ এলেও বাঁ পায়ের শটে বল তার পায়ে মারেন হৃদয়। অথচ একটু উঁচুতে শট নিলেই এটা গোল হয়ে যায়!
১৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে থ্রু দিন হামজা। জনি সুযোগ নষ্ট করেন। ১৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মোরসালিনের ক্রস বক্সের ভেতরে পড়ে। ইমন একদম অরক্ষিত ছিলেন। যে হেড করেন, তা অবিশ্বাস্যভাবে পোস্টের বাইরে দিয়ে গিলে হতাশায় পোড়ে লাল-সবুজ বাহিনী।
২১ মিনিটের সময়ে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক তপু বর্মণ। পেইনকিলার ইনজেকশন নিয়েও আর মাঠে ফিরতে পারেননি। তার বদলি রহমত মিয়াকে ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়।
ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে ইনজুরিতে ছিটকে যান বাংলাদেশ মিডফিল্ডার কাজেম কিরমানি শাহ। কুচকির চোটে এই অবস্থায় পড়েন তিনি। তার ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত করেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান। আগেরদিন রাতে ডান পায়ের কুচকিতে ব্যথা বেড়ে যায় কাজেমের।
বাংলাদেশের একাদশ ॥ মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, শাকিল তপু, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, শাহরিয়ার ইমন।