
এমবাপে
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ থেকেই লিড নিয়ে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট ছিল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত হলোও ঠিক তাই। বুধবার দ্বিতীয় লেগে পাত্তাই পেল না পেপ গার্দিওলার দল।
কিলিয়ান এমবাপের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা এদিন ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ম্যানচেস্টার সিটিকে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছে কালো আনচেলত্তির দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়াও নকআউট পর্বের বাধা অতিক্রম করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই, পিএসভি এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। প্যারিসের ক্লাব পিএসজি এদিন গোল উৎসব করে ৭-০ ব্যবধানে ব্রেস্টকে হারিয়েছে। ফলে সমষ্টিগতভাবে তারা ১০-০ গোলে ব্রেস্টকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে। দ্বিতীয় লেগে স্পোর্টিং সিপির সঙ্গে এদিন গোলশূন্য ড্র করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
তবে প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় রাউন্ড অব সিক্সটিনে জায়গা করে নিয়েছে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড। কিন্তু দুর্ভাগ্য জুভেন্টাসের। তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল পিএসভির বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে খেলতে নেমেছিল। কিন্তু এদিন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পিএসভি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে দ্বিতীয় লেগে জিতে জুভেন্টাসের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট নিশ্চিত করে।
তবে এদিন ফুটবলপ্রেমীদের বাড়তি নজর ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। কেননা, সর্বশেষ দুই আসরের দুই চ্যাম্পিয়ন ম্যানিসিটি আর রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই বলে কথা। কিন্তু নিজেদের সমর্থকদের সামনে এদিন জ্বলে ওঠেন কিলিয়ান এমবাপে। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে বসেন তিনি। ৫ মিনিটে রাউল অ্যাসেনসিওর বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
একের পর এক আক্রমণে সিটির নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে রিয়াল। ৩৩ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে সিটির বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন এমবাপে। বিরতির পরও সুবিধা করতে পারেনি সিটি। ৬১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে সিটির যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেয় এমবাপে। শেষদিকে নিকো গঞ্জালেস সিটির হয়ে একটি গোল শোধ করলেও ততক্ষণে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানসিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের ফলে চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এমবাপের গোল এবং এসিস্ট সংখ্যা দাঁড়াল ৩০। সেইসঙ্গে পেশাদার ক্যারিয়ারে এদিন ৫০০তম গোল এবং এসিস্ট করার মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন এমবাপের গোলসংখ্যা ৩৫৮টি। এছাড়া তার ক্যারিয়ারে এসিস্ট সংখ্যা ১৪২টি।