ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

সালাহর কীর্তিতে ভাগ বসালেন মারমুশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সালাহর কীর্তিতে ভাগ বসালেন মারমুশ

গোলের পর ওমর মারমুশের উদযাপন

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করছে ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু চলতি মৌসুমে হঠাৎ করেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে পেপ গার্দিওলার দল। এমন পরিস্থিতিতেই গত জানুয়ারীতে এইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখান ওমর মারমুশ। শনিবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামেন ম্যানসিটির এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড।


আর এই ম্যাচেই বাজিমাত করেন ওমর মারমুশ। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে তুলে নেন জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিক। তাতেই তার দল ম্যানচেস্টার সিটি ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। সিটির জার্সিতে হ্যাটট্রিক করেই নিজেকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে গেলেন মারমুশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। তার আগে মিসরের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইপিএলে হ্যাটট্রিক করার নজীর গড়েছিলেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। 


নিজেদের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেওয়া ম্যাচে মাত্র ১৪ মিনিটের ব্যবধানেই হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন মারমুশ। শুরুটা করেছিলেন ম্যাচের ১৯ মিনিটে। সিটি গোলরক্ষক এডারসনের এসিস্ট থেকে প্রথম গোল করেন মারমুশ। তার ৫ মিন পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচের বয়স যখন ৩৩ মিনিট তখনই হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন গত ২৩ জানুয়ারী এইনট্রাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে ম্যানসিটিতে নাম লেখানো এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড।


নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম গোল; সেইসঙ্গে হ্যাট্রিকও। তাতে দারুণ খুশি মারমুশ। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশেষে এখন মনে হচ্ছে আমি ম্যানসিটিতে এসে পৌছেছি এবং বিশ্বের সেরা এক ক্লাবের হয়ে খেলছি।’ 


ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করে দলের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আর্লিং হালান্ড কিংবা ফিল ফোডেন। চলতি মৌসুমে সিটিজেনদের হয়ে এই দুই তারকাই সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে রয়েছেন। ২৫ ম্যাচে হালান্ডের নামের পাশে ১৯ গোল। অন্যদিকে, ২০ ম্যাচ খেলা ফোডেনের গোলসংখ্যা ৭টি। এই দুই তারকার সহকারী হিসেবে এখন ওমর মারমুশও রাখতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। 

মোস্তফা/আফরোজা

×