আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের একটা ঘোষণা যেন বিদ্রোহ-আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত থাকা নারী ফুটবলারদের জন্য ‘তপ্ত মরুভূমিতে বয়ে এনেছে এক পশলা বৃষ্টি’!
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ১৪ বিশিষ্ট নাগরিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ২০২৫ সালের একুশে পদক দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছে সরকার। আজ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে বড় স্বীকৃতি। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলও এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি এখনও। যদি ওই দলের অনেকই ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একুশে পদক পাওয়ার সমাচার শুনে গণমাধ্যমকে জানান, ‘একুশে পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কারের জন্য আমাদের মনোনীত করায় সরকারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের এই পুরস্কার শুধু নারী দল নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ২০২২ ও ২০২৪ আসরে টানা দুই বার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই আসরে তারা একবার রানার্সআপ (২০১৬) ও তিনবার সেমিফাইনালও (২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯) খেলেছে। এছাড়া এসএ গেমস ফুটবলে তারা দু’বার ব্রোঞ্জপদকও জিতেছে (২০১০ ও ২০১৬)। সেই সঙ্গে এই দলের খেলোয়াড়রাই আন্তর্জাতিক বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় আটটি শিরোপাও জিতেছেন।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য নেপথ্যে যেসব সংগঠকের অবদান আছে তারা হলেন- প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু, কামরুন নাহার ডানা, মাহফুজা আক্তার কিরণ, গোলাম রব্বানী ছোটন ও পল স্মলি।
রুমেল/সাজিদ