রোনাল্ডোর
রাত পোহালেই জন্মদিন। পা দেবেন ৪০ বছরে। কিন্তু কে বলবে ৪০-এ পা দিতে চলেছেন তিনি? এখনো জোড়া গোল করে দলকে জেতাচ্ছেন। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসরের ম্যাচ ছিল আল ওয়াসলের সঙ্গে। সেখানে প্রতিপক্ষকে চুরমার করলেন ৪-০ গোলে। জোড়া গোল সিআর ৭ এর। প্রথম গোলটি ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে, দ্বিতীয় গোলটি এলো ৭৮ মিনিটে হেডে।
এই নিয়ে ক্লাব ফুটবলে রেকর্ড ৭০০টি জয় হয়ে গেল ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর। জন্মদিনের আগে অভিনব সেলিবেশনে মাতোয়ার পর্তুগিজ সুপারস্টার ঘোষণা, ‘আমিই সেরা।’ বললেন,‘আমিই সর্বকালের সেরা প্লেয়ার। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি হেড দিয়ে, দুই পা দিয়েই গোল করতে পারি। এখনো শক্তিশালী, গতিশীল। আমার থেকে পরিপূর্ণ প্লেয়ার আর কেউ আসেনি।’
রোনাল্ডো ২০০২ সালের আগস্টে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর থেকে তার হিসাবের খাতায় জয়ের পরিসংখ্যান যুক্ত হতে শুরু করে। ২৩ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে রোনাল্ডো ৭০০ জয়ের ১৩টি এসেছে স্বদেশী স্পোর্টিং লিসবন, দু-দফায় ইংলিশ ম্যানইউ ২১৪টি, স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদে ৩১৫টি, ইতালিয়ান জুভেন্টাসে ৯২টি ও সৌদির আল নাসরের হয়ে ৬৬টি।
সময়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারও অত্যন্ত বর্ণাঢ্য। কিন্তু মোট জয়ের হিসাবে তিনি বেশ খানিকটা পিছিয়ে। ক্লাব ফুটবলে মেসির ৬১৩ গোলের ৫৪২টি-ই পেয়েছেন বার্সেলোনার জার্সিতে। এদিন জোড়া গোলের পর রোনাল্ডোর মোট গোল ৯২৩টি। গোলের পর বিমান ওঠার মতো হাত উঠিয়ে অভিনব সেলিব্রেশনও করেন। এটা ছিল সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আল-নাসরের টানা চতুর্থ জয়।
এই জয়ে এসিএল’র নকআউট পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। উল্লেখ্য, পর্তুগালের জার্সিতে রোনাল্ডোর গোল ১৩৫, যা ফুটবল ইতিহাসেই রেকর্ড সর্বোচ্চ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন হাজার গোল করতে চান।
বলেছিলেন, ‘যদি ১০০০ গোল করতে পারি, তাহলে ভালো। আমি এটা নিয়ে এত ভাবি না। আর যদি সেটা করতে পারি, তাহলে বলব, সংখ্যা মিথ্যা কথা বলে না। কেউ পেলে, ম্যারাডোনা, মেসিকে সর্বকালের সেরা ভাবতেই পারেন। কিন্তু আমিই সর্বকালের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফুটবলার।’ আরও বলেন, “আমি কয়েকজন খুব খারাপ কোচের অধীনে খেলেছি। তাদের কয়েকজন ফুটবলের কিছুই বোঝেন না!” খোঁচাটি সম্ভবত ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ এরিক টেন হ্যাগকে উদ্দেশ করে!