ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

বেনফিকাকে হারাল বার্সেলোনা, রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

বেনফিকাকে হারাল বার্সেলোনা, রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে

 

হেরেও জিতে যান যিনি, তাঁকে যদি ‘বাজিগর’ বলা হয়, তবে হারা ম্যাচ জিতে ফেরা দলের নাম নিঃসন্দেহে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে বিপক্ষ দলের স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিক। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ২-৪ স্কোরলাইনে পিছিয়ে থাকা। এতকিছুর পরেও নব্বই মিনিট গড়িয়ে অতিরিক্ত সময়ের পর রেফারি যখন ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজালেন তখন বিলবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে: বেনফিকা ৪-৫ বার্সেলোনা!

 

টানটান ম্যাচ। রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার। বিনোদনের ভাঁড়ার যেন শুরু থেকেই মজুত ছিল এস্তাদিও দ্য লুজ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের বয়স তখন দুই মিনিট। স্ট্রাইকার পাভলিদিসের গোলে এগিয়ে যায় বেনফিকা। উইংগার আলভারো কারেরাসের ঠিকানা লেখা লো ক্রস জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। যদিও ডিফেন্সের ভুল শুধরে অল্প খানিক বাদেই (১৩ মিনিট) ম্যাচে ফেরে বার্সা। আলেজান্দ্রো বালদেকে পেনাল্টি বক্সে অবৈধ ট্যাকল করেন টমাস আরাউজো। নিশ্চিত পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে গোল করেন রবার্ট লেভানডস্কি।

এরপরই শুরু হয় ‘কমেডি অফ এররস’। সৌজন্যে গোলকিপার সেজনি। অবসর ভেঙে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে বার্সেলোনা। টের স্টেগেনের বিকল্প হিসেবে এই মরশুমেই সই করেন সেজনি। কিন্তু তাঁর করা পরপর দুটো ভুলেরই মাশুল গুনতে হয় হান্সি ফ্লিকের টিমকে। প্রথমবার ক্রসের গতি মাপতে ভুল। দ্বিতীয়বার বিপক্ষের খেলোয়াড় করিম আকতুরকগলুকে অবৈধ ট্যাকল। দুটি ক্ষেত্রেই গোলদাতা প্যাভলিদিস। ২২ ও ৩০ মিনিটের মাথায় করা এই দুই গোলের ফলে ৩-১ স্কোরলাইনে এগিয়ে যায় বেনফিকা।

 

দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায়। হাই ডিফেন্সলাইনকে কাজে লাগিয়ে বেনফিকা রক্ষণকে চেপে ধরেন লামিন ইয়ামাল, এরিক গার্সিয়ারা। ৬৪ মিনিটের মাথায় একটি গোল শোধ করেন রাফিনিয়া। যখন মনে হচ্ছে, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা এই ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরবে বার্সেলোনা, তখনই আত্মঘাতী গোল করে সে আশায় এক প্রকার জল ঢেলে দেন ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউজো।

 

এরপরই জমে ওঠে কামব্যাক। প্রথমে লেভানডস্কি। তারপর এরিক গার্সিয়া। দুটি গোলের সৌজন্যে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। ৯০ মিনিট গড়িয়ে ম্যাচ তখন অতিরিক্ত মিনিটে গড়িয়েছে। তার ছয় মিনিটের মাথায় লিওনার্দো ব্যারেরোকে পেনাল্টি বক্সে অবৈধভাবে ট্যাকল করেছেন বার্সেলোনার স্ট্রাইকার ফেরান টরেস—এই মর্মে রেফারিকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বেনফিকার খেলোয়াড়রা। কিন্তু রেফারি তাতে কান না দিয়ে ‘প্লে-অনে’র নির্দেশ দেন। তখনই তড়িৎগতিতে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করে বার্সেলোনার আক্রমণ। সেই আক্রমণের নিট ফল রাফিনহার দৃষ্টিনন্দন গোল। যার জেরে ৪ গোল খেয়েও ৫ গোল করে তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে ফেলে বার্সেলোনা।

 

এই জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে ওঠা নিশ্চিত করে ফেললেন লেভানডস্কিরা। ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দু’নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা।

সাজিদ

×